মহামায়া সম্পর্কে এমনও কিছু তথ্য

মহামায়া এমনি একটি শব্দ যা সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক।হিন্দু দর্শনে বর্ণিত পরমেশ্বরী শক্তি হলো মহামায়া। নাগোজীভট্টী টীকা অনুসারে জানা যায় মহামায়া'বিসদৃশ-প্রতীতি-সাধিকা ঈশ্বরশক্তি'। আবার তত্ত্বপ্রকাশিকা টীকা অনুযায়ী মহামায়াই হল “অঘটন-ঘটন-পটীয়সী ব্রহ্মাত্মিকা শক্তি”। হিন্দুদের বিশ্বাস ঈশ্বর সৃষ্টি, পালন, সংহার ও জন্ম লীলা প্রভৃতি কার্য এই মহাশক্তির সাহায্যেই সম্পাদন করেন।আর এই মহাশক্তিই দূর্গা,কালী,জগদ্ধাত্রী ইত্যাদি নামে ও রূপে ভক্তদের দ্বারা পূজিতা হয়ে থাকে।

ব্রহ্মা নারদকে মহামায়া তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেছেন দেবী ভাগবত  গ্রন্থে।দেবী ভাগবত গ্রন্থে মহামায়া ব্রহ্ম, পরমাত্মা ও ভগবতী নামে আখ্যা দেয়া হয়েছে। রুদ্রযামল তন্ত্রগ্রন্থেও মহামায়াকে পরব্রহ্ম বলা হয়েছে।

মহামায়া/thehindu9.blogspot.com


শ্রী চণ্ডীতে রাজা সুরথ ঋষির নিকট মহামায়া তত্ত্বব্যাখ্যা জানতে চাইলে সমগ্র চণ্ডীপুস্তকটির কাহিনির অবতারণা করা হয়। এই গ্রন্থে সর্বমোট ৮বার মহামায়ার উল্লেখ করেছিলো। মহামায়ার হাতের অস্ত্র অনেকেই স্পষ্ট ধারনা নেই।

ত্রিশূল :স্বয়ং মহাদেব মহামায়ার হাতে ত্রিশূল তুলে দিয়েছিলেন ৷আপনি জানেন কি? ত্রিশূলের যে তিনটি ফলা রয়েছে  তাদের আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে।এই তিনটি ফলা  মানুষের তিনটি গুণ, তমঃ, রজঃ ও সত্যকে ব্যাখ্যা করে৷

গদা:কালদণ্ড বা গদা দিয়েছিলেন স্বয়ং যমরাজ৷গদা হলো আনুগত্য, ভালবাসা এবং ভক্তির প্রতীক।

বজ্রাস্ত্র:  বজ্রাস্ত্র দিয়েছিলেন দেবরাজ ইন্দ্র।মহামায়ার হাতের এই অস্ত্র দৃঢ়তা এবং সংহতির প্রতীক।

সাপ: নাগহার দিয়েছিলেন শেষ নাগ আর এই সাপ হলো বিশুদ্ধ চেতনার প্রতীক।

অগ্নি: অগ্নি অস্ত্র দিয়েছিলেন স্বয়ং অগ্নিদেব যা জ্ঞান এবং বিদ্যার প্রতীক।

শঙ্খ: শঙ্খ দিয়েছিলেন বরুণ।আার এই শঙ্খ জীব জগতে প্রাণের সৃষ্টি করে।

চক্র: বিষ্ণু তুলে দিয়েছিলেন মায়ের হাতে চক্র যার অর্থ হল সমস্ত সৃষ্টি ও জগতের কেন্দ্রে অধিষ্ঠান রয়েছেন মহামায়া।

তীর-ধনুক: ধনুক ও তীর দিয়েছিলেন স্বয়ং বায়ু।ধনুক ও তীর উভয়ই ইতিবাচক শক্তির প্রতিক৷

পদ্ম:পদ্ম দেবীর হাতে তুলে দেন ব্রহ্মা৷যদিও পদ্ম পাঁকে জন্মায় তবু সে কত সুন্দর। তেমনই মমহামায়ার  আশীর্বাদে যেন অন্ধকারের মধ্যেও আলোর আবির্ভাব হয় সেই বার্তাই দেয় পদ্ম ফুল।

তলোয়ার: আর তলোয়ার হল মানুষের বুদ্ধির প্রতীক৷তরোয়ারের জোরে সমস্ত বৈষম্য ও অন্ধকারকে ভেদ করতে পারে মানুষ৷
(সিংহ নয়, পুরাণ মতে মা দুর্গার বাহন এরাই)
মহামায়া আমাদের পরম আরাধ্যা জগৎ জননী-সকল দুঃখ বিনাশীনি দশভুজা দুর্গেশনন্দিনী
অর্থাৎ মহামায়া হল হিন্দু দর্শনে বর্ণিত পরমেশ্বরী শক্তি। নাগোজীভট্টী টীকা অনুসারে মহামায়া “বিসদৃশ-প্রতীতি-সাধিকা ঈশ্বরশক্তি”। তত্ত্বপ্রকাশিকা টীকা মতে মহামায়াই হল “অঘটন-ঘটন-পটীয়সী ব্রহ্মাত্মিকা শক্তি”। ঈশ্বর সৃষ্টি, পালন, সংহার ও জন্ম লীলা প্রভৃতি কার্য এই মহাশক্তির সাহায্যেই সম্পাদন করেন বলে হিন্দুদের বিশ্বাস। এই মহাশক্তিই দুর্গা, কালী, জগদ্ধাত্রী প্রভৃতি নামে ও রূপে ভক্তদের দ্বারা পূজিতা হন।ইনি শিব কে স্বামী রূপে গ্রহণ করেন।ইনি দক্ষ কন্যা সতী ও হিমালয়ের কন্যা পার্বতী রূপে জন্ম নেন।  দেবী ভাগবত গ্রন্থে ব্রহ্মা নারদকে মহামায়া তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেছেন। এই গ্রন্থে মহামায়া ব্রহ্ম, পরমাত্মা ও ভগবতী নামে কথিত। রুদ্রযামল তন্ত্রগ্রন্থেও মহামায়াকে পরব্রহ্ম বলা হয়েছে।  শ্রীশ্রীচণ্ডীতে রাজা সুরথ মেধা ঋষির নিকট মহামায়া তত্ত্বব্যাখ্যা জানতে চাইলে সমগ্র চণ্ডীপুস্তকটির কাহিনির অবতারণা করা হয়। এই গ্রন্থে মোট আটবার মহামায়ার উল্লেখ করা হয়েছে।  বৈষ্ণবগণ মহামায়াকে ভগবান বিষ্ণুর বহিরঙ্গা শক্তি বলেন।
এছাড়াও এই ওয়েবসাইটটিতে পাবেন 
মহামায়া দেবী শক্তি,
মহামায়া,দেবী মহামায়া কে ছিলেন,
দেবী মহাকালী,
আদ্যাশক্তি মহামায়া,
দেবী,দেবী মহালক্ষ্মী,
দেবী মহাসরস্বতী,
দেবী কামাক্ষ্যা,
দেবী ফলহারীনির,
মহামায়া নারী,
দেবী দূর্গা,
দেবী দূর্গার ইতিহাস,
কেন দেবী মহামায়ার কাছে হার মানেন স্বয়ং বিষ্ণু,
যোগমায়া ও মহামায়া,
দেবী আদিশক্তি,
দেবী শাকম্ভরী,
দেবীর নয়টি রূপ কী কী?
,মহামায়া আদ্যাশক্তি,
মহামায়া আদ্যাশক্তি কে,
দেবী আদি পরাশক্তি,
১২ মাসে দেবীর ১২ রুপের বর্ননা,
শুভ দূর্গাপূজা শুভ মহালয়া


Next Post Previous Post
2 Comments
  • সনাতনী আলাপন
    সনাতনী আলাপন ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ এ ১২:৫৪ AM

    hare krisna

  • নামহীন
    নামহীন ২৮ এপ্রিল, ২০২২ এ ১২:৪৬ AM

    সঠিক তথ্য পেলাম।। জয় মা 🙏🙏

Add Comment
comment url