কমবয়স থেকেই ভগবানের ভক্তি করুন

 সনাতনী হিন্দুগণের প্রতিটি বাবা মাকে সচেতন হতে হবে যাতে তাদের সন্তান কথা বলা শুরুর সময় থেকে তাদের সামনে অ,আ,ই (অক্ষর জ্ঞান) বুলির পাশাপাশি ধর্ম জ্ঞানের কথার বুলিও শেখাতে হবে। কারনঃ-আমরা সকলেই জানি ও ধর্মীয় পুস্তক অনুযায়ী  শৈশবের ভক্তি: ঘিয়ের প্রদীপের মতো! যার ফল খুব সুনিশ্চিত হয়। আর যৌবনের ভক্তি হলো: "তৈলের প্রদীপের মতো"! তেল ফুরিয়ে গেলে উপায়ও শেষ। এবং  বৃদ্ধ বয়সে ভক্তি হলো: "জলের প্রদীপের মতো"! অর্থাৎ ক্ষনস্থায়ী ও ভগুর। 

ভগবানের প্রতি ভক্তি
ভগবানের প্রতি ভক্তি 

অপরদিকে নিমোক্ত চিন্তার হিন্দুদের সংখ্যাটা বেশ বড়, তারা ভাবে এখন কি ভক্তি করার সময় বয়স হলে তখন ভক্তি করব! কি আচার্য তাই না! 

আপনাদের কাজে আমার প্রশ্ন হলো?

 কেউ কতদিন বাঁচব কেউ বলতে পারি?

পৃথিবীতে মানুষ কখনো যানে না যে, সে কত মিলিসেকেন্ড বাঁচবে!কারন আমরা, "ভগবানের ঘরের 'ভাড়াটে"!!! অর্থাৎ আমরা স্বপ্নের দুনিয়ায় আছি স্বপ্ন ভেঙে গেলে আবার আমরা পৃথিবী থেকে অনেক দুরে চলে যাব। আমাদের এই নশ্বর দেহ ঘর মালিকের কোনো চুক্তি পত্র(Notice Period) থাকে না!মাঝ রাতে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে পারে!

🌿তাই আর আমাদের হাতে তেমন কোন সময় নেই!

এই ক্ষনস্থায়ী সময়ের মাঝেই গোবিন্দের চরণ তলে স্বরণ নিতে হবে। 

আসুন জেনে নেই কে কোন বয়সে ভজন সাধন করে মুক্তি লাভ করেনঃ

🌿"জন্মথেকে" ভজন করছেন কে?

"ভক্তপ্রহ্লাদ"!

" কয়াধু মাতারগর্ভে" , নারদ মুনির আশ্রমে,

"হরি নাম করছেন"।


🌿যৌবনে ভজন করছেন কে? 

"রাজা অম্বরীশ" তীব্র ভক্তি। তাঁর ভক্তিতে,

" নারায়ণের সুদর্শন তাঁর সঙ্গে থাকে"। 


🌿যৌবনের যে ভক্তি, তা হলো:

" তৈলেরপ্রদীপের মতো। 


🌿বৃদ্ধহয়ে, ভজন করেছেন "অজামিল"। 

মৃত্যু হবে সেসময় হরিনাম স্মরণে, বিষ্ণুদুতকে আসতে দেখে বিবেক আসল তাঁর। তখন করলেন ভজন ।

পেলেন ভগবান কৃপা! 

তবে বৃদ্ধ বয়সে ভজন হয় না। যদি হয় তবে তাহা,

" পূর্ব জন্মের বহুসুকৃতি"আর "ভগবত কৃপাতে"। 


🌿কারণ, বৃদ্ধ বয়সে ভজন মন যে আসে না। বার্ধক্যের কারণে অঙ্গ জড়জড়িত,  চোখে দেখা যায় না গ্রন্থ সঙ্গ হয়, মন শুধু বিশ্রাম খোঁজে। মন শুধু আরাম চাই। 

কারণ, সে সময় অপেক্ষা করে যারা যৌবনে ভজন করছেন না তাদের ভাবতে হবে।। 


🌿"বৃদ্ধ অবস্থা হলো":"জলের প্রদীপ"। 

"জলে কি প্রদীপ জলে"? 

"তবে হয় ভজন বৃদ্ধ বয়সে। যদি ভগবত কৃপা হয়"। "ভগবতকৃপা যে সুদুর্লভ" । 


🌿যারা যৌবনে ভজন করছে তাদের দেখে অনেকে আছে বলে -

"এখন কি ভগবানকে ডাকার সময়"! "এখন তো আনন্দ ফুর্তি করবে"! 


🌿তারা ভুলে যায় বৃদ্ধ বয়সে ভগবানকে ডাকলে যে পুজাটা হলো- "শুকানো ফুলের পুজা"। শুকানো ফুলে কি পুজা হয়?


🌿ভগবানের সঙ্গে যুক্ত মন অধঃগতিতে কখনো যাবে না এটা মনে করে যে কোন বয়সে মনকে ভগবানের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।


🌿তবে ছোটবেলা থেকে যদি ভগবানের গুন মহিমা কীর্তন করার অভ্যাস করা যায় তাহলে বৃদ্ধ বয়সে  আপনাআপনি ভগবানের নাম স্মরণে আসবে ।

তখন আর ভগবানের কৃপা লাভ করতে অসুবিধা হবে না ।

🌿 স্বয়ং বিচার করুন।

পরিশেষে এটুকুই বলতে পারি সন্তানের শিশু শিক্ষার পাশাপাশি ধর্ম শিক্ষা না দেবার কারনে আধুনিক সভ্য সমাজে এসেও আমাদের সনাতন ধর্ম সঠিকভাবে তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। কারন আপনার আমার তো সঠিক স্বয়ংসম্পূর্ণ ধর্মীয় জ্ঞান নাই তো!।তাই আমরা অন্য ধর্মীয় মানুষের সঠিক জবাব পর্যন্ত দিতে পারি না। যার ফল স্বরূপ হিন্দু মেয়েরা বিধর্মী ছেলেদের হাত ধরে পালিয়ে যাচ্ছে,নতুন প্রজন্ম সনাতন ধর্মে আস্থা হারাচ্ছে, এমনকি তারা গর্বের সঙ্গে বলতে পারে না আমি সনাতনী/হিন্দু ধর্মাবলম্বী(তাদের নাকি লজ্জা করে)হায়রে কলিযুগ😪, ইত্যাদি হাজারো সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। 

আসুন আমরা প্রত্যেক সনাতনী যে যার যায়গা থেকে ধর্মীয় শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়া শুরু করি।।🙏🙏🙏

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
"/>
"/>
"/>
"/>