দীক্ষাকালে গুরু শিষ্যের সহবাস

পুরোপুরি না পড়ে কেউ মন্তব্য দেবেন না।


অনেকের মুখে শোনা যাই সদগুরু কর্তৃক শিষ্যের দীক্ষা কালে গুরু এবং শিষ্যের মধ্যে সহবাস করতে হয়। অনেকের এটা নিয়ে নাঁক সিটকাতেও দেখা যাই। শুনতে খারাপ লাগলেও এটা সত্য যে দীক্ষাকালে গুরু শিষ্যের মধ্যে সহবাস ঘটে।

কিন্তু,,,,

এই সহবাস কি এবং কেনো করতে হয় সে বিষয়ে জেনে নেওয়া উচিত।

   গুরু যখন কোনো শিষ্যকে দীক্ষা দেন তখন তার কর্ণে মন্ত্র প্রদান করেন। এখানে গুরু অর্থে স্বয়ং জগৎগুরু দেবাদিদেব সদাশিব যিনি অশরীরি হয়ে কোনো দেহধারী ব্যক্তির মধ্যে দিয়ে দীক্ষা প্রদান করেন। মন্ত্র দাতা গুরুমুখ এক্ষেত্রে শিবলিঙ্গকে আধার করে মন্ত্র দান করেন। আর শিষ্যকর্ণ তখন দেবীযোনী স্বরুপা। গুরু যে মন্ত্র দান করেন তাহা বীজ(বীর্য্য সম)। জাগ্রত কূলকুন্ডুলিনীর আধার সদাশিব দেহধারী গুরুরুপে শিষ্যকর্ণে যে মন্ত্র প্রদান করেন তা শিষ্যদেহে সুপ্ত কূলকুন্ডুলিনীতে আঘাত করে। বীজস্থ মাতৃবর্ণ সমূহ শিষ্যদেহের চক্রস্থ মাতৃকাবর্ণকে শক্তি সঞ্চার করে জাগরিত করতে থাকে। ইন-এক্টিভ কোষ গুলো তখন শব্দ তরঙ্গের প্রভাবে নাদ-বিন্দুর খেলায় ঘর্ষণ অনুভব করে। 'অ'কার থেকে 'ক্ষ'কার পর্যন্ত ৫১ বর্ণমালা যে যেখানে থাকে সবাই প্রতিধ্বনিত হয়। শিষ্য শরীরে মৃদু থেকে মৃদুতম কম্পন অনুভূত হয়।

লিঙ্গস্বরুপ গুরুমুখ এবং যোনীস্বরুপ শিষ্যকর্ণের মিলনে এবং শিষ্যকর্ণে বীজদানের এই আধ্যাত্মিক সহবাসই শিষ্যের আধ্যাত্মিক চেতনার কারণ। ইহায় গুরু শিষ্যের সহবাস। ইহায় বাহ্যিক অন্ধকার জগৎ থেকে আধ্যাত্মিক জগতে প্রবেশের প্রথম এবং প্রধান সোপান। 

বাকি সবকিছু গুরু এবং মাতৃকৃপা।

বন্দে গুরু পরম্পরাম।

দীক্ষাকালে গুরু শিষ্যের সহবাস
দীক্ষাকালে গুরু শিষ্যের সহবাস


🙏🙏🙏পোষ্ট, মোদিয় সর্ব্বস্তরের গুরুগণের চরণে অর্পন করলাম।🙏🙏🙏


বিনীত, 

    গুরুপদদাসানুদাস অধম

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
"/>
"/>
"/>
"/>