শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালন করি কিন্তু মৃত্যুদিবস পালন করি না কেন
শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন ঈশ্বরেরও ঈশ্বর, তাই তাকে বলা হয় পরমেশ্বর।শাস্ত্রে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছয় প্রকার অবতারের কথা বলা হয়েছে।পুরুষাবতার,গুণাবতার, লীলাবতার,শক্ত্যাবেশ অবতার,যুগাবতার এবং মন্বন্তর অবতার।এরা সকলেই হচ্ছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অংশ বা কলা।বিশেষ কোন কার্য সাধনের উদ্দেশ্যে যুগে যুগে এই অবতারেরা অবতীর্ণ হন। শ্রীকৃষ্ণের অংশ অবতারেরা প্রতি যুগে যুগে অবতীর্ণ হলেও স্বয়ং কৃষ্ণ কিন্তু প্রতি যুগে যুগে আসেন না।তিনি সহস্ত্র চতুর্যুগে মাত্র একবার আসেন।অর্থাৎ সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর এবং কলি- এই চারটি যুগ ১০০০ বার আবর্তিত হলে (৮৬৪ কোটি বছরে) মাত্র ১ বার আসেন।আর কৃষ্ণ যখন আসেন তখন তাঁর ধাম এবং পার্ষদসহ তিনি অবতীর্ণ হন।
![]() |
New Krishna 2022 picture |
👉আপনি জানেন কি শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন ও মৃত্যুদিন আছে কিনা?
একদিকে সনাতনীরা শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন পালন করে আবার অন্যদিকে মৃত্যুদিবস বা মৃত্যুদিন পালন করে না কেন? মৃত্যু বরন করে নি ভগবান কেন । আমরক জানি ভগবান তো লীলা সংবরন করেছিলেন। আবার আপনারা বলতে পারেন।পৃথিবীতে যা কিছু জন্ম রয়েছে তার মৃত্যু অবশ্যাভামী। অর্থাৎ তার মৃত্যুও আছে যার জন্ম আছে এটাই সত্যি। কিন্তু সেটা সাধারন মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । অপরদিকে জন্মমৃত্যু রহিত ভগবান।তারপরেও তা সত্ত্বেও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জীবের কল্যানে লোকশিক্ষা প্রদানে জন্মগ্রহন করেছিলেন। ভগবান কখনো সর্বসাধারনকে বলে না আমি ভগবান জ্ঞানীরা বুঝে নেয়। আর যারা তার লীলা বুজতে সক্ষম তাদের কেই তিনি নিজ মহিমা বলেন। আর বাকিদের জন্য এমন কিছু করে যান যাতে তারা ভগবানকে বুঝতে পারে। তাদের জন্য এই লীলাটি ।আর কোথায় পাওয়া গেছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মৃত্যু হয়েছে? প্রমান আছে কারো কাছে? অনেকেই আবার বলতে পারেন শ্রীকৃষ্ণকে তো তীর মেরে হত্যা করেছিল জরা নামক ব্যাধ ।জরা ব্যাধ তীর মেরেছিল এইটুকু সকল শাস্ত্রে লেখা আছে তার প্রমাণ ও রয়েছে। তারপর আরো লেখা আছে। শ্রীকৃষ্ণ তার লীলা সংবরন করেন জরার তীরে । (শ্রীমদ্ভাগবত) জীব কল্যানে যে অভিনয় করতে এসেছিলেন তার অব্যাহতি ঘটান। এখানে কোথাও লেখা নেই ভগবান মৃত্যুবরন করেন। প্রকৃত পক্ষে, প্রভাস ক্ষেত্র জঙ্গলের মধ্যে জরার তীরে বিদ্ধ হওয়ার পর ভগবান কিছুক্ষন জরার সাথে কথা বলেন। তারপর ওই জঙ্গলে থাকা বিষ্ণু মন্দিরে গিয়ে বিগ্রহের সাথে বিলীন হয়ে যান। সেই জায়গা এখন প্রভাস তীর্থ নামে পরিচিত। অর্থাৎ ভগবানের সাধারন মানুষের মত মৃত্যু হয় নি। এখানেই ভগবানের সাথে আমাদের আরো একটি পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।