উত্তেজনাকে নিয়ন্ত্রণ করবেন কিকরে?
উত্তেজনার একটা সহজ সরল উপায় হলো,আপনি খুব সুখে থাকলে দুঃখ তার পিছু পিছু আসবেই। তাই আপনি আজ বেশি হাসছেন তাই আপনি কাল কাঁদবেন। এই পর্যবেক্ষণ টা এসেছে কারন আপনি আপনার সচেতনতার ভিত্তিতে চলছেন না।আপনার স্বভাবটা চক্রাকারে ঘোরার কারনে। আপনি খুব হাসতে লাগলে কাল কাঁদবেন কারনএটা মানুষের সাথে ঘটতে থাকে বহু মানুষের এটাই অভিজ্ঞতা। বহু মানুষের ক্ষেত্রে এটা সত্যি। এটা সেই পেক্ষিতে আপনি বলেছিলেন উত্তেজনা চাই না কারন উত্তেজনা এনে দেয় বিপদ।
যদি আনন্দময় হতে পারতেন সবসময় এক উত্তেজনা অবস্থায় দারুণ হতো না।আমাদের যথাযত ভারসাম্য আনতে হবে কারন অতিরিক্ত উত্তেজনা দুর্ঘটনা যেন না আনে।উত্তেজনা মানে জীবন আরও তীব্র ভাবে হচ্ছে তাই না।সবসময় এর সর্বোচ্চ তীব্রতার সাথে ঘটা উচিত কিন্তু এখন আপনার যথাযথ ভারসাম্য করা উচিত যাতে আপনার উত্তেজনা আপনার ভেতরে সর্বনাসা পরিস্থিতি ডেকে না আনে। তো ঠিক জিনিসটা চান? আপনার দরকার যথাযথ ভারসাম্য। জীবনকে হত্যা করা নয় কারন জীবনে বাঁচলে কিছু হতে পারে তাই সবচেয়ে ভালো হয় মরে যাওয়া সেই যুক্তি এগোচ্ছেন উত্তেজিতরা, এটাই কি সমাধান! যদি জীবনকে বাঁচেন আঘাত লাগতে পারে দুঃখ পেতে পারেন তাই সবচেয়ে ভালো এখুনি মরে যান যাতে আপনার সাথে কিছুই না হয়।
এটা একদম ১০০% ইনস্যুরেন্স কিন্তু সেটা উপায় না পাপও বটে, তাই না?আপনি বাঁচতে চান, উচ্ছাসের সাথে বাঁচতে চান আর তবুও ভারসাম্যে থাকা। আপনি অর্ধজীবিত আর শান্তিপুর্ন এর কোন মুল্য নেই।
Streets /উত্তেজনা |
আপনি প্রাণবন্তভাবে বেঁচে আর তাও আপনি শান্তিপুর্ন এটা সুন্দর,এটা চমৎকার অথবা আপনি প্রাণবন্ত আর কখনো সখোনো আপনার ভারসাম্য হারান সেটা তবুও চলবে কিন্তু আপনি মৃত আর শান্তিপুর্ন সেটার ও কোন মুল্য নেই নাতো জীবনের কাছে এর মূল্য আছে। পৃথিবীতে আসার উদ্দেশ্য হলো বাঁচা তাই নয় কি?আমাদের এখানে থাকার লক্ষ্যটাই তো জীবনকে যতোটা তীব্রভাবে আর যতটা গভীরভাবে সম্ভব অনুভব করা