লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায়

কি করে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছবেন

নগন্য হাতে গোনা কিছু ব্যাক্তিত্ব রয়েছে তারাই শুধু কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছেন।আদর্শ জীবন এর জন্য লক্ষ্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে শুধু একটি জিনিস মাথায় রাখুন।নিশ্চলতথ্যে জীবন্মুক্তি এই কথার  মানে একজন  যিনি অটল থাকেন  তার লক্ষ্যে।যিনি এই লক্ষ্যে থাকেন তার জন্য মুক্তিলাভ আটকানো সম্ভব না।জীবনে সফল হওয়ার উপায়গুলো কি কি? মানবজাতির অধিকাংশ চলে তাদের জীবনে কোন দিকে যেতে হবে তা  না জেনে জীবনে ভয়ংকর ভুল করতে করতে  তারা বদলাতে থাকেন।তাদের জীবনের দৃশ্য বড্ড ঘণ ঘণ পাল্টে। হয়তো তারা সত্যি সত্যি তাদের জীবনের দিশা বদলান না কিন্তু  তাদের মনে এবং আবেগি এটা সক্রিয় মানগুলো বদলাতে থাকে এবং পর্যায়ক্রমে বদলাতেই থাকে। অস্তিত্বের প্রকৃতিটাই এমন।আজ এটা বৈজ্ঞানিক ভাবেও প্রমানিত কিন্তু এটাই প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা প্রত্যেক যোগীর যে, অস্তিত্বের নিজস্ব শক্তি আছে আর আছে চেতনা। ভৌত পদার্থ বলে কিছু নেই। ভৌত পদার্থ যা আপনি বোঝেন আজ কালকে  তা কেবল শক্তির ঘনীভূত প্রতিমান।আজ এটা  বিজ্ঞান প্রমাণিত। কিন্তু ১৪ হাজার বছরেরও আগে যখন শিব বলেছিলেন এবং তিনি পরিষ্কারভাবেই বলেছিলেন, তিনি কাজ করতেন পরমচেতনা বা শক্তি নিয়ে। কখনোই ভৌত  বস্তু নিয়ে নয়। কারণ তিনি একে বাস্তব হিসেবে দেখেননি আর তাই তিনি এভাবে বলেছিলেন যে,এই দুটো জিনিস নিয়ে প্রত্যেকের কাজ করতে হবে  তবে ভৌতকে বাদ দিয়ে।

লক্ষ্য অর্জন ছবি 

যদি এই মুহূর্তে আপনাকে আপনার শক্তিকে জানতে হয়  তবে মনে রাখতে হবে এই মুহূর্তে শক্তি কেন্দ্রভিত রয়েছে এই দেহে নিরাকারে। একমাত্র এটা বিশেষভাবে ব্যবহার করলে এটা সক্রিয় হবে,না হলে মাটির ঠেলার মত বসে থাকবে।যদি একে এখানে বসে বসেই সক্রিয় হতে হয় তবে এখানে রাখতে হবে এক বিশেষভাবে।তো আপনি যাই শারীরিক সাধনা করুননা কেন  তা মাংসপেশি  গড়তে নয়। এই জন্যও নয় যাতে বাড়িতে গিয়ে আপনি লোকজনের উপর জোর খাটাতে পারেন তাই এই সাধনা হবে নিদিষ্ট লক্ষ্যের জন্য।আপনার শক্তিগুলো সক্রিয় হয়ে উঠলে আর আপনার মন একমুখী থাকলে তখন এটা তৈরি করবে ঠিক নিকৃষ্ট ওদিকেই।যেহেতু মন তার মনোযোগ বদলাতে থাকে, বদলাতে থাকে আর বদলাতেই থাকে তাই এটা কোন পথে  করতে হবে তা হবে নিদিষ্ট।আমরা যেহেতু মানুষ সেহেতু  আমাদের ভিতরে থাকা জীবনটাই দিশেহারা। সে জানেনা কোন দিকে যেতে হবে। আমি বলব অন্তত ৯৫-৯৯ শতাংশ  কিন্তু যাতে আমি ভুল না হই তাই বলবো মানুষের অন্তত ৯৫ ভাগ শক্তি অপচয় হয়। একেবারে নষ্ট হয় কারণ বেশিরভাগ মানুষ তাদের  মনোযোগ কে কোন কিছুতে ধরে রাখতে পারেন না যথেষ্ট পরিমাণ সময়ের জন্য। তা না হলে তাদের প্রত্যেককে খুলে ফেলতেন এক একটি নতুন জানালা,নতুন দরজা বা অন্য কিছু। ৭০০ কোটি মানুষ যদি তারা সবাই তাদের মনোযোগ এবং চেতনা একমুখী রাখতেন তাহলে  সব কিছু  মিলে অমায়িক ফল দিতো।কোন কিছুই থাকতো না অজানা মানে সমস্ত কিছু। যদি কেউ  তার মন,তার শক্তি, চেতনাকে একমুখে সঙ্ঘবদ্ধ করে রাখতো একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাহলে শুধু এই জীবনের প্রকৃতিকেই  উপলব্ধ করতো না বরং এর আগে সৃষ্টি হওয়া ৮৪ টি ব্রহ্মাণ্ডসহ সব কিছুই জানা সম্ভব মানুষের চেতনার সাহায্যে। তাই সফলতা খুব কাছেই ঘোরাঘুরি করে শুধু তাকে ধরার জন্য একাগ্রতাচিত্রে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আপনাকে অনুপ্রাণিত করতে এমন কিছু কৌশল রয়েছে। তা নিম্নে দেওয়া হলো-

১.নিজের সম্পর্কে কথা বলার কৌশল বদলে ফেলুন(নিজের কাজের পেছনের নিজেকে যা বলেন সেটা),উদাহরণ -আপনি হয়তো একদিন অফিস যাওয়ার পেছনে নিজেকে এই বুঝ দিতেন যে,কাজে না গেলে অফিস থেকে আপনাকে বরখাস্ত বা বকা দিবে অথবা আপনি নিয়মিত অফিস যাওয়ার কারন হিসেবে নিজেকে বুঝ দেনযে এতে আপনি কর্মজীবনে সাফল্য লাভ করতে পারেন।দ্বিতীয় বুঝটি আপনাকে আরও অনুপ্রেরণা ও ভালো পারফর্ম করতে সহায়তা করবে।
২.অন্যদের সাথে নিজের তুলুনা করা বন্ধ করুন না হলে আপনার আত্মবিশ্বাস নষ্ট হবে। উদাহরণ হিসেবে অন্যদের সাফল্য দেখে আপনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন।
৩.সমালোচনার ভীত হবেন না হয়ে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করুন এবং নিজের দুর্বলতা সারিয়ে ফেলুন।
৪. নিজের আকাঙ্খিত আচরণগুলোকে অভ্যাসের ওপর নির্ভরশীল করুন।উদাহরণত, আপনার হয়তো পড়তে ভালো লাগে। তাহলে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৫.নিজের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের উপর ফোকাস দিন।আপনি যদি তা না জানেন তাহলে তা সৃষ্টি করুন।
৬.আপনি যদি ভাবেন আপনার কোনো সমস্যাই আসবেনা তাহলে বিপদে পড়ে যাবেন তাই সমস্যাগুলো আগে থেকেই অনুমান করুন আপনি যদি কোনো সমস্যা মোকাবিলার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত থাকেন তাহলে সে সমস্যা আসলে আপনি সহজেই এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন।
৭.এমন লোকদের সঙ্গে সময় কাটান যারা আপনার চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান, বেশি জ্ঞানী।এধরণের মানুষের  সঙ্গে সময় কাটালে আপনি আপনার নিজের দুর্বলাতাগুলো কী? তা বুঝতে পারবেন এবং সেগুলো কাটিয়ে ওঠার উপায়ও জানতে পারবেন।
ধন্যবাদ সকলকে MS.

   

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
"/>
"/>
"/>
"/>