দান করা প্রসঙ্গে পবিত্র বেদ ও গীতার বানী
আমি সনাতন। আমার অন্তরে ঈশ্বর ওঁ স্থাপিত।
যর্জুবেদঃ ২.১৩
স্বর্গীয় জ্যোতি ও আনন্দ উপলব্ধির প্রতীক ‘ওম’ স্পাপিত হোক তোমার হৃদয়ে অনন্তকালের জন্য ।
ওঁ তৎসৎ
ওঁ কৃষ্ণায়, ওঁ গোবিন্দায়, ওঁ বাসুদেবায়, ওঁ জয় শ্রীরাম, ওঁ নম শিবায়, ওঁ গনেশায় নম:
★সনাতনই আমার ধর্ম
★সেবাই আমার মুল কর্ম
★ক্ষুধার্তের তৃপ্তিই আমার পুন্য
★দারিদ্র্যের প্রীতিই আমার পুজা
★দুস্থদের আত্মনার্তই আমার পাপ
★গরীবের ভাংগা ঘরই আমার মন্দির
★ক্ষুধার্তের মুখের হাসিই আমার প্রার্থনা
★নিরীহের কস্ট অনুধাবনই আমার ধ্যান
★দুর্গতদের সাথে বসবাসই আমার সাধু সঙ্গ
★ক্ষুধার্তের দারিদ্র মুক্তিতেই আমার মোক্ষ লাভ
★অনাহারীর মুখে অন্ন দানই আমার পুজার প্রসাদ
★সকল প্রানীর দু:খে সামিল হওয়াই আমার আরতি
★সেবাই আমার মুল কর্ম
★ক্ষুধার্তের তৃপ্তিই আমার পুন্য
★দারিদ্র্যের প্রীতিই আমার পুজা
★দুস্থদের আত্মনার্তই আমার পাপ
★গরীবের ভাংগা ঘরই আমার মন্দির
★ক্ষুধার্তের মুখের হাসিই আমার প্রার্থনা
★নিরীহের কস্ট অনুধাবনই আমার ধ্যান
★দুর্গতদের সাথে বসবাসই আমার সাধু সঙ্গ
★ক্ষুধার্তের দারিদ্র মুক্তিতেই আমার মোক্ষ লাভ
★অনাহারীর মুখে অন্ন দানই আমার পুজার প্রসাদ
★সকল প্রানীর দু:খে সামিল হওয়াই আমার আরতি
ঋগ্বেদ,৬/৭৫/৯
নিজ নিজ সমাজ ভালবাসুন, ক্ষুধার্তকে অন্ন দান করুন, দুর্গতকে সাহায্য করুন, সত্য-ন্যায়ের সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা রাখার শক্তি অর্জন করুন।
নিজ নিজ সমাজ ভালবাসুন, ক্ষুধার্তকে অন্ন দান করুন, দুর্গতকে সাহায্য করুন, সত্য-ন্যায়ের সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা রাখার শক্তি অর্জন করুন।
ঋগবেদঃ ১.১২৫.৬
স্বত্বত্যাগ করে দানের জন্য রয়েছে চমৎকার পুরস্কার । নিঃস্বার্থ দানকারী আর্শীবাদ ধন্য দীর্ঘ জীবন ও অমরত্ব লাভ করেন।
স্বত্বত্যাগ করে দানের জন্য রয়েছে চমৎকার পুরস্কার । নিঃস্বার্থ দানকারী আর্শীবাদ ধন্য দীর্ঘ জীবন ও অমরত্ব লাভ করেন।
ঋগবেদঃ ১.৯১.১৩
বিশ্বাসীর হৃদয়েই প্রভূ বসবাস করেন । আমাদের দেহই হোক প্রভূর মন্দির । আমরা যেন চিরদিন তাঁর সত্যিকারের দাস হিসেবে থাকতে পারি । আমাদের জীবনের সকল অর্জন তার চরণে সমর্পণ করতে পারি ।
ঋগবেদঃ ৪.২৩.
যে সকল মানুষ সৎপথে কঠোর পরিশ্রম করেন এবং পরস্পরকে সহযোগিতা করেন তাদেরকেই প্রভূ সাহায্য করেন ।
যে সকল মানুষ সৎপথে কঠোর পরিশ্রম করেন এবং পরস্পরকে সহযোগিতা করেন তাদেরকেই প্রভূ সাহায্য করেন ।
অথর্ববেদঃ ৬.৮১.১
হে মানুষ ! উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আন্তরিকতার সাথে পরিশ্রম করো । দারিদ্রতা ও অসুস্হতা তোমার কাছ থেকে পালিয়ে যাবে । [
হে মানুষ ! উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আন্তরিকতার সাথে পরিশ্রম করো । দারিদ্রতা ও অসুস্হতা তোমার কাছ থেকে পালিয়ে যাবে । [
ঋগবেদ ঃ ১.১৫.৮
এসো প্রভূর সেবক হই ! গরীব ও অভাবীদের দান করি ।
এসো প্রভূর সেবক হই ! গরীব ও অভাবীদের দান করি ।
শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন
যে নিজের দুঃখকে আপন করে জীবন কাটায় সে শক্তিহীন হয়ে পড়ে অপরদিকে যে ব্যাক্তি সমগ্র সমাজের দুঃখ আপন করে জীবন কাটায় সে শক্তিশালী হয়ে ওঠে"।
যে নিজের দুঃখকে আপন করে জীবন কাটায় সে শক্তিহীন হয়ে পড়ে অপরদিকে যে ব্যাক্তি সমগ্র সমাজের দুঃখ আপন করে জীবন কাটায় সে শক্তিশালী হয়ে ওঠে"।
গীতায় শ্রীকৃষ্ণ আরো বলেছেন
'ঈশ্বরঃসর্বভূতানাং হৃদ্দেশেহর্জুন তিষ্ঠতি'
'ঈশ্বরঃসর্বভূতানাং হৃদ্দেশেহর্জুন তিষ্ঠতি'
অর্থাৎ ------/
হে অর্জুন , ঈশ্বর সকল প্রাণীর হৃদয়ে অবস্থিত । জীব সেবাই ঈশ্বর সেবা।
হে অর্জুন , ঈশ্বর সকল প্রাণীর হৃদয়ে অবস্থিত । জীব সেবাই ঈশ্বর সেবা।
ঋগ্বেদ, ৫/১৫/৩
সৎকর্ম মানুষকে দৃঢ় ও সাহসী করে। দেহ মনকে রোগ ও পাপ থেকে মুক্ত রাখে। সকল প্রতিকূলতার উপর বিজয়ী করে।
ঋগবেদঃ ৫.৬০.৫
মহাপ্রভূর দৃষ্টিতে কেউই বড় নয়, কেউই ছোট নয়, সবাই সমান । প্রভূর আর্শীবাদ সবারই জন্য ।
মহাপ্রভূর দৃষ্টিতে কেউই বড় নয়, কেউই ছোট নয়, সবাই সমান । প্রভূর আর্শীবাদ সবারই জন্য ।
বৈষ্ণব মতে ------
ইহা হইতে ধর্ম আর নাহি সনাতন
জীবে দয়া নামে রুচি বৈষ্ণব সেবা
ইহা হইতে ধর্ম আর নাহি সনাতন
জীবে দয়া নামে রুচি বৈষ্ণব সেবা
উপনিষদ মতে ------
আহার , ভোজন,খাওয়া সমস্ত কিছুই শরীররূপ মন্দিরের পবিত্র নির্মানের জন্য । তাই মানুষের জন্য অন্যান্য জীব সেবা অবশ্য কর্তব্য।
আহার , ভোজন,খাওয়া সমস্ত কিছুই শরীররূপ মন্দিরের পবিত্র নির্মানের জন্য । তাই মানুষের জন্য অন্যান্য জীব সেবা অবশ্য কর্তব্য।
পুরান মতে ------
ঈশ্বর মানুষ, জীব, জগৎ, প্রকৃতি সব কিছুর স্রষ্টা ও নিয়ন্তা। লোকহিতকর কর্ম মাত্রই ঈশ্বরের সেবা
ঈশ্বর মানুষ, জীব, জগৎ, প্রকৃতি সব কিছুর স্রষ্টা ও নিয়ন্তা। লোকহিতকর কর্ম মাত্রই ঈশ্বরের সেবা
স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন -----
জীবে প্রেম করে যেই জন
সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।।
জীবে প্রেম করে যেই জন
সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।।
নিজের উপর বিশ্বাস না আসিলে ঈশ্বরে বিশ্বাস আসে না। জগতের যা কিছু উন্নতি, সব মানুষের শক্তিতে হয়েছে, উৎসাহের শক্তিতে হইয়াছে। বিশ্বাসের শক্তিতে হইয়াছে।
সনাতন ধর্ম অনুযায়ী গরীব-দুঃখীদের দান করা একজন মানুষের তার ইহজীবনের পাঁচটি মহাঋণের মধ্যে একটি।পবিত্র বেদ ও গীতা সর্বদাই দান করাকে উৎসাহিত করেছে। দেখুন;-
সনাতন ধর্ম অনুযায়ী গরীব-দুঃখীদের দান করা একজন মানুষের তার ইহজীবনের পাঁচটি মহাঋণের মধ্যে একটি।পবিত্র বেদ ও গীতা সর্বদাই দান করাকে উৎসাহিত করেছে। দেখুন;-
➡ আয় করতে হাতটিকে শতটিতে বৃদ্ধি কর আর দান করতে তাকে সহস্রটিতে রুপান্তরিত কর।
(অথর্ববেদ ৩.২৪.৫)
(অথর্ববেদ ৩.২৪.৫)
➡ ধনীদের উচিত দুঃস্থদের দান করা, তাদের দুরদৃষ্টিসম্পন্ন হওয়া উচিত কেননা ধনসম্পদ হল রথের চাকার মত, এখন যা এখানে পরমূহুর্তেই তা অন্যখানে গতিশীল হয়।
(ঋগ্বেদ ১০.১১৭.৫)
➡ যে ব্যক্তি দুঃস্থদের সাহায্য করেনা, অজ্ঞানী এবং অন্তঃদৃষ্টিহীন তার সকল উন্নতিই বৃথা, সকল সম্পত্তিই অনর্থক।যে অন্যদের সাহায্য করেনা, অন্যকে অভুক্ত রেখে কেবল নিজে খায় সে মূলত পাপই ভোজন করে।
➡ দান করা কর্তব্য বলে মনে করে প্রত্যুপকারের আশা না করে উপযুুক্ত স্থানে, উপযুক্ত সময়ে এবং উপযুক্ত পাত্রে যে দান করা হয়, তাকে সাত্ত্বিক দান বলা হয়।
(গীতা ১৭.২০)
অতএব আসুন!মহামারি করোনার এই দুর্দিনে সমাজে যারা হত দরিদ্র/ নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছেন,তাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের সাধ্যমত যা আছে,তাই নিয়েই দাঁড়ানোর চেষ্টা করি
যখন আপনি কিছু দান করবেন,
আপনার উচিত তা ভদ্রতা ও বিনয়ের
সাথে প্রদান করা।
ঘৃণাপূর্ণ মন নিয়ে কখনোই
কাউকে দান করবেন না।
বলা যায় না, ভগবান কখন আপনার
অবস্থা পরিবর্তন করে দেন।