জড় জগতের মানুষ যেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে সাধারণ জীব না ভাবে তাই এই বিভুতি ও বিশ্বরুপ দর্শনের প্রেক্ষাপট।অর্জুনকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জানিয়েছেন যে-
১ . সকল দেবতার মধ্যে – আমি ইন্দ্র অর্থাৎ আমি স্বর্গরাজ ।
২ . আদিত্যদের মধ্যে – আমি বিষ্ণু
৩. মরুতদের মধ্যে – আমি মরীচি
৪. রুদ্রদের মধ্যে – আমি শিব
৫. যক্ষ ও রাক্ষসদের মধ্যে – আমি কুবের ।
৬. বসুদের মধ্যে আমি – আমি অগ্নি
৭ . সেনাপতিদের মধ্যে – আমি কার্তিক
৮ . গন্ধর্বদের মধ্যে – আমি চিত্ররথ ।
৯ . স্রষ্টাদের মধ্যে – আমি ব্ৰহ্মা
১০ . দৈত্যদের মধ্যে – আমি ভক্ত প্রহ্লাদ ।
১১ . দণ্ডদাতাদের মধ্যে – আমি যম ।
১২ . পিতৃপুরুষদের মধ্যে – আমি অর্যমা
১৩ . সন্তান উৎপাদনের হেতু - আমি কন্দর্প বা কামদেব''''হে পরন্তপ অর্জুন ! আমার দিব্য বিভূতি - সমূহের অন্ত নেই ।আমি এই সমস্ত বিভূতির বিস্তার সংক্ষেপে বললাম''। গীতা
১০/৪০বৈদিক শাস্ত্রে বলা হয়েছে , যদিও ভগবানের বিভূতি ও শক্তি নানাভাবে উপলব্ধি করা যায় , তবুও তার বিভূতির কোন অন্ত নেই ; তাই ভগবানের সমস্ত বিভুতি ও শক্তি বর্ণনা করা যায় না ।
 |
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরুপ |
অর্জুনের কৌতুহল নিবারণ করবার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাকে তার অনন্ত বৈভবের কয়েকটি মাত্র উদাহরণ দিলেন ।পরমেশ্বর ভগবান সর্বভূতে পরমাত্মারূপে প্রবিষ্ট হয়ে এই জড় জগতের সর্বত্র বিরাজমান । ভগবান এখানে অর্জুনকে বলেছেন যে , এই জগতের কোন কিছুরই নিজস্ব কোন ঐশ্বর্য নেই , তাই তার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সম্বন্ধে অবগত হয়ে কোন লাভ নেই ।আমাদের জানতে হবে যে , সব কিছুরই অস্তিত্ব সম্ভব হয়েছে , কারণ শ্রীকৃষ্ণ পরমাত্মারূপে সেগুলির মধ্যে প্রবিষ্ট হয়েছেন ।
মহত্তম জীব ব্রহ্মা থেকে শুরু করে একটি ক্ষুদ্রপিঁপড়ে পর্যন্ত সকলেরই অস্তিত্ব সম্ভব হয়েছে , কারণ ভগবান তাদের সকলের অন্তরে বিরাজমান এবং তিনিই তাদের প্রতিপালন করছেন ।অনেক মুঢ় মনে করে থাকে যে , যে - কোন দেব - দেবীর আরাধনা করে পরমেশ্বর ভগবানের কাছে বা পরম লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে । কিন্তু গীতায় দেব - দেবীদের পূজা করতে সম্পূর্ণরূপে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে , কারণ ব্রহ্মা ও শিবের মত শ্রেষ্ঠ দেবতারাও হচ্ছেন ভগবানের অনন্ত বিভূতির অংশ মাত্র ।ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন সকলের উৎস এবং তার থেকে আর কেউ শ্রেষ্ঠ নয় বা তার সমান অথবা তার থেকে বড় আর কেউ নেই ।।জয় গীতা ।।
এই ওয়েবসাইটটিতে আরো জানতে পারবেন
শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপ দর্শন,ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপ দর্শন,শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপ,শ্রী কৃষ্ণের বিশ্বরূপ দর্শন,কৃষ্ণের বিশ্বরূপ,শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপ আসলে কি,মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপ,কৃষ্ণের বিশ্বরূপ দর্শন,শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপ এর প্রকৃত অর্থ,ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বিশ্বরুপ দর্শন করালেন,বিশ্বরূপ দর্শন,শ্রীকৃষ্ণের বাণী,ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী,শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বিশ্বরূপ দর্শন