ঈশ্বরের অস্তিত্ব আপনি প্রমাণ করতে পারবেন কি?

ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ

 করতে বেশি দূর যেতে হবে না। আপনি নিজের অস্তিত্ব নিয়ে একটু চিন্তা করলেই এর সদুত্তর পেয়ে যাবেন। আপনি ভেবে দেখুন একটা সময় ছিলো যখন আপনার কোনো অস্তিত্ব ছিলো না। তারপর মাতৃগর্ভের ঘোর অন্ধকারের মধ্যে একফোঁটা তুচ্ছ পানি স্থায়িত্বের মাধ্যমে জমাট রক্তে পরিণত হয়। এরপর তা মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়। ওই মাংসপিণ্ড আবার অস্থি মজ্জায় পরিণত হয়। এরপর তার উপরে আবার চামড়া দ্বারা সুন্দর আবরণ তৈরী হয়। সবশেষে তাতে আত্মার সঞ্চার হয়। এরপর দীর্ঘদিন সেই মায়ের গর্ভেই থাকতে হয়েছে। সেখানে খাদ্যের প্রয়োজন হলে তার নিখুঁত ব্যবস্থাও হয়ে যায়। এরপর পৃথিবীতে আসার পরে আপনি কোনো খাবার খেতে সক্ষম ছিলেন না তখন মায়ের বুকের দুধের মতো শ্রেষ্ঠ খাবার আপনার জন্য ব্যবস্থা হয়। তারপর আপনি ধীরে ধীরে বড় হয়েছেন। একজন সুন্দর সুস্থ মানুষ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেন। এসব কিছু তো আপনার অস্তিত্বে আসার কথা বললাম।

ঈশ্বরের অস্তিত্ব
ঈশ্বরের অস্তিত্ব 

এরপর আপনার অস্তিত্বকে ‘অস্তিত্বে’ আনতে যে উপকরণগুলোর দরকার পড়েছে, চোখ, কান, নাক, মুখ, হাত, পা, হার্ট বা হৃদপিণ্ড, ব্রেইন —সুবহানাল্লাহ! এই এক ব্রেইন সম্পর্কে বিজ্ঞান যতকিছু আবিষ্কার করেছে তা তো রীতিমতো হয়রান করে দেয়ার মতো তথ্য।— কিডনি, মোটকথা পুরো বডিটা তৈরি করতে যতকিছু লেগেছে সবগুলকে সুনিপুণভাবে সেট করা। এবং প্রত্যেকটির কার্যক্ষমতাকে বাকি রাখার জন্য রক্ত সঞ্চালন করাসহ আরো কতো বিষয় আছে।


আপনার কি মনে হয় এসব কিছু আপনা থেকেই হয়? এর পিছনে কারো কোনো হাত নেই? নেই কোনো ইশারা? যদি তাই হয়, তাহলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে কেন? কেন অসুস্থ হলে ডাক্তারের দারস্থ হতে হয়? কেনইবা চিকিৎসা গ্রহন করতে হয়? আর চিকিৎসা নিয়েও পূর্ণাঙ্গ সুস্থ হতে পারে না কেন? যখন কোনো অঙ্গে সেফটি হয় তখন তা কেটে ফেলতে হয় কেন? কেন সেখানে নবজীবনধারী ঐরূপ কোনো অঙ্গ সেট করে তা চালনা করতে সক্ষম হয় না কেউ? কেন কেউ হার্ট এটাক হলে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে না পৃথিবীর চিকিৎসকগণ? কেন এমন হয়? এসবই কি মিছেমিছি হয়ে যায়?


চালক ছাড়া গাড়ি না চলে, মাঝি ছাড়া যদি নৌকা না চলে, পাইলট ছাড়া যদি বিমান না ওড়ে...। তাহলে এ বিশ্ব চরাচরের সুন্দর চালনা কি এমনিতেই হতে পারে? প্রতিনিয়ত সূর্য পূবদিগন্তে উঠে পশ্চিমদিগন্তে অস্ত যায়? চাঁদ ওঠে, কমে-বাড়ে, চিকন হয়ে নিঃশেষ হয়ে যায়। গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি এতসব কিভাবে এমনিতেই চলতে পারে? কোনোদিন কোনো অনিয়ম নেই। একটা আরেকটার সাথে ঘর্ষণ লাগে না। সব চলছে আপন গতিতে। কত শত বছর পার হয়ে গেছে! কোনোদিনও একটাও মুহূর্তের জন্যও থামেনি! কার ইশারায় এসব হচ্ছে? এসব কিছু যার ইশারায় হচ্ছে। তিনিাই মহান স্রষ্টা স্বয়ং ঈশ্বর , মহাস্রষ্টা পরমেশ্বর ঈশ্বর । বা আপনার শব্দে তিনিই আল্লাহ, গড,যিশু খ্রীষ্ট প্রভৃতি। পৃথিবী সব জিনিসই স্রষ্টা বা ঈশ্বর(?)এর অস্তিত্বেরই প্রমাণ বহন করে। আপনি এর একটা ক্ষুদ্রাকার প্রাণী বা বস্তু নিয়ে ভাবেন সেখানেও স্রষ্টা বা ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ খুঁজে পাবেন। ধন্যবাদ


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
"/>
"/>
"/>
"/>