মনকে শান্ত রাখার উপায়
মনকে শান্ত করার সঠিক উপায়ঃসবকিছু নিয়ে ভাবার চেষ্টা করুন। শুধু মন্ত্রটাকে কাজে লাগান। অনেক কিছু ঘটবে। এমন কিছু ঘটবে যা তুমি কল্পনাও করেনি। আমরা এখানে অনেক কিছু করে থাকি।তোমরা হয়তো দেখে থাকবে আশ্রমে অনেকে কমলা রঙ্গের ট্যাগ গুলো পড়ে ঘুরে বেড়ায়।দেখবে সবাই নীরবতার ট্যাগ পড়ে থাকে।উনারা সম্পূর্ণ নিঃশব্দে থাকে কারণ শুধু কথা না বলে শুধু মুখ বন্ধ রাখাটা হলো অর্ধেক কাজ। আর সম্পূর্ণ নিরব একমাত্র তখনই হওয়া সম্ভব যখন তুমি নিজেকে নিয়ে খুব বেশি আর ভাববে না। তুমি যদি নিজেকে নিয়েই শুধু ভাবতে থাকো তুমি যদি ভাবো আমি বুদ্ধিমান তাহলে তো তাহলে তুমি কিভাবে নিরব হবে?তোমরাই বলো।তুমি যদি উপলব্ধি করো তুমি আসলেই মূর্খ, তুমি এই সৃষ্টি সম্পর্কে কিছুই জানোনা তাহলে এটা হবে।তাই না?তখন তুমি অবাক চোখে জীবনকে দেখতে পারবে তখন তোমার মনে আর কোন ভাবনা আসবেনা। কিন্তু তুমি যদি ভাবো তুমি সব কিছু জানো তাহলে তোমার মাথায় নানা রকম ব্যাখ্যা, হিসেব নিকেষ, নানারকম অর্থহীন ভাবনা ঘুরবে। কিন্তু তুমি যদি একটাই জিনিস রাখ তাহলে হাজারো ভাবনা থেমে যাবে।তাই না? তোমরা এখানে এই সৎসংগে এসে পুরোপুরি নিরব হয়ে বসে নেই। তোমরা আমার সাথে সহমত হচ্ছো অসম্মত হচ্ছেন নিজের মনে-মনে মন্তব্য করছো,তোমার পাশে বসে থাকা কারোর পোশাক নিয়ে মন্তব্য করছো।সেটার প্রশংসা করছো নিন্দা করছো সবকিছু করছো।কি ভুল বললাম।কারন যখনই তুমি ভাববে যে তুমি যা ভাবছো তার মূল্য আছে তখনি তুমি আর সেটাকে থামাতে পারবে না।
মন শান্ত করার কৌশল |
থামানোর কোনো রাস্তাও নেই ।সেটা ক্রমাগত চলতেই থাকবে। যখন তুমি বুঝবে জীবনের কাছে তোমার চিন্তাভাবনার প্রকৃতই কোন মূল্য নেই। তখন দেখবে শুধু স্মৃতি বারবার ফিরে আসবে। সেই একই অর্থহীন ভাবনা গুলো বারবার ফিরে আসছে কিন্তু তাতে যদি খুশি হও যদি তুমি এই ফিরে আসাটা কে উপভোগ করো তোমার যদি মনে হয় এটা অসাধারন তাহলে তুমি সেটা আর থামাতে পারবে না।যদি তুমি এই ভাবনার গতিবিধি দেখতে শেখ।যদি তুমি এর মুর্খামি টা বুঝতে পার তাহলে ধীরে ধীরে নিজেকে দুরে সরিয়ে নিবে।আর সেই ভাবনা গুলো চুরমার হয়ে যাবে কারন মনোযোগ ছাড়া এটা চলতে পারে না।তোমার মন কোথাও যায় না এটা এখানে এখানে থেকেই কিছু একটা ভাবছে। কোথাও কি যাচ্ছে?মন কোথাও যায় না। এটা এখানেই আছে আর অন্য কিছু ভাবছে। কিন্তু এখনেই আছে তাই না? তাই নয় কি? না তোমার শরীর কোথাও যায়, না তোমার মন কোথাও যায়, তুমি কোথাও যাও।এরা প্রত্যেকে একত্রে থাকে। তুমি যদি কিছু করতে চাও তাহলে এমন কিছু করো যা সব ক্ষেত্রে কর্যকরি হবে।ওটাকে এটাকে সেটাকে আলাদা ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না এরা একত্রে থাকে তাই নয় কি?তোমার মন কোথাও যায় না। তুমি কি তাকে হারিয়ে ফেলেছো? তুমি শুধুমাত্র তোমার মনের কল্পনা দ্বারা প্রতারিত হয়ে যাচ্ছ।এটা এখানে আছে আরকিছু একটা কল্পনা করছে। তোমার মন কোথাও যাচ্ছে না কিন্তু তুমি নিজেকে জরিয়ে এত বিব্ভান্ত হয়ে আছো যে তুমি ভাবছো মন বুঝি অন্য কোথাও চলে যাচ্ছে মন কোথাও যায় না। মন তোমার মাঝেই আছে।তোমাকে এটা বুঝতে হবে তোমার মনে এই অবিরাম অনিয়ন্ত্রিত ভাবনা গুলো আসে তার কারন যা তুমি নও সেই সব বিষয়গুলোর সাথে নিজেকে এক করে ফেলেছো।যখনি এমন বিষয়ের সাথে নিজেকে জড়াবে যা তুমি নও।তখনি তোমার মন অবিরাম ছটপট করবে। অসংখ্য বিষয়ের সাথে নিজেকে জরিয়ে রেখে তুমি মনকে থামানোর চেষ্টা করছো আমি তোমাকে বলছি তুমি দশ লক্ষ বছর ধরে চেষ্টা করলেও পারবে না।এটা হতে পারে না। তুমি যদি তোমার মিথ্যে পরিচয় গুলো মুছে ফেলো তাহলেই সেই মুহূর্তটা আসবে।মন একটা আয়না হয়ে উঠবে।সে কিছু বলবে না শুধু প্রতিবিম্ব দেখিয়ে দিবে।এটাই মনের কাজ।তোমার মন একটা যন্ত্র এটা সেই সময় ভালোভাবে কাজ করে যখন স্বচ্ছতা আসে,তাই নয় কি?তাই তো।
তোমার মন এখানে নানারকম মজাদার জিনিসের স্বপ্ন দেখতে আসেনি এটা জীবনের বিচ্যুতির নমুনা। তোমার মন এখানে তোমার জীবনের পথে স্বচ্ছতা দিতে এসেছে। কিন্তু এই মুহূর্তে মন বিভ্রান্তির একটা বড় গোলক হয়ে গেছে। এর সহজ কারণ হলো তুমি এমন বিষয়ের সাথে জরিয়ে আছো যা তুমি আদোও নও।অথচ তুমি তাকে বাঁধার চেষ্টা করছো। কিন্তু এগুলোকে ধরে রাখা যায় না। তুমি খুব খারাপ খাবার খেয়েছো এখন তোমার পেটে গ্যাস হয়েছে। তুমি এটা ধরে রাখতে পার না।তুমি খারাপ খাবার খেয়েছো এটা তারি পরিণাম। মিথ্যে বিষয় জরিয়ে থাকার জন্যে এগুলো থামাতে পারবে না। ঈশ্বরকে ভাবে তিনি নিজেই তোমাকে নানান জায়গায় নিয়ে যাবে।এখন তুমি এখানে বসে আছো আর চেষ্টা করছো ধ্যানস্থ হবার কিন্তু তোমার মনের মধ্যে বন্ধু,বার, সিনেমা, পাপ,পুন্য, বা অন্য কিছু চলছে এদিকে সবাই বলছে ঈশ্বরের কথা ভাব সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। তুমি যদি রাম বা কৃষ্ণের কথা ভাবো তাহলে দেখবে তুমি রামের সাথেই সিনেমা দেখতে গেছ। এটাই মনের স্বভাব। রাম নিজই তোমাকে বারে নিয়ে যাবে।রাম নিজে তোমাকে রেস্তোরাঁয় নিয়ে যাবে।তুমি এটা থামাতে পারবে না। কারণ তুমি এমন কিছুর সাথে নিজেকে জরিয়ে ফেলেছো যেখান থেকে পরিত্রাণের উপায় নেই। তাহলে এখন যেটা করতে হবে মনকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে যা তুমি নও সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এই মুহূর্তে তোমার সবচেয়ে মৌলিক চাহিদা দিয়ে শুরু করছি । তোমার পরিচয় তোমার শরীর। তুমি যে পোশাক পরে আছ তোমার চুলের ধরণ এমনকি তোমার দাড়িও । ভীষণ ভাবে জরিয়ে আছো তাইতো।তোমার স্ত্রী, তোমার সন্তান, তোমার পরিবার, তোমার শিক্ষা, তোমার ধর্ম, অসংখ্য পরিচয় তোমার। এই এতো অসংখ্য পরিচয় নিয়ে তুমি একটা শান্ত মন চাও! সেটা একেবারেই অসম্ভব। এজন্য আমরা তোমাদের একটা পদ্ধতি দিয়েছি,যার নাম শুন্য।যেখানে তুমি মনথেকে সামান্য দুরত্ব তৈরি করতে পার।একবার দুরুত্ব হলে মন যত চঞ্চল হোক কোন সমস্যা নেই। এটাই মনের সংগে বিচ্ছিন্নতা। যখনি তুমি মন থেকে বিচ্ছিন্ন হবে তখনি অন্য পরিচয় থেকেও বিচ্ছিন্ন হবে। কারন মন ই তো আমাদের আসল পরিচয় তৈরি করে দেয়।তাই নয় কি?সুতরাং সবকিছু নিয়ে ভাবার চেষ্টা কর না শুধু মন্ত্র টাকে কাজে লাগাও অনেক কিছু ঘটবে।গায়ত্রী মন্ত্র:
এমন কিছু ঘটবে যা তুমি কল্পনাও করো নাই।
এই ওয়েবসাইটটিতে আরো জানতে পারবেন