ক্ষমতাবান হবার উপায়

কি করে ক্ষমতাবান হবেন? 

ক্ষমতাবান হবার  উপায়গুলো নিচে পর্যায়ক্রমে  আলোচনা করা হলো- কতদূর পর্যন্ত একজন মানুষ এই জীবনে যাবেন। বস্তুগত ভাবে,আধ্যাত্মিক ভাবে বা যে কোন মাত্রায় মূলত তা নির্ভর করে কতটা শক্তি তিনি নির্গত করতে পারেন।হ্যাঁ প্রচুর মানুষ রয়েছেন যারা প্রভূত শক্তি সম্পন্ন কিন্তু এই শক্তিকে রূপান্তরিত করে ব্যক্তিগত ক্ষমতায় পরিণত করার জ্ঞান এবং প্রয়োজনীয় পদ্ধতি তাদের মধ্যে নেই। ক্ষমতা কাকে দেখানোর জন্য? ক্ষমতা অন্যকে দেখানোর জন্য নয় ক্ষমতা আপনার নিজস্ব বিষয়। আপনি কতটা সম্ভাব্য ক্ষমতার আধার তা নির্ধারণ করবে,আপনার জীবনের তীব্রতা ও গভীরতা কতটা হবে এবং জীবনে আপনি কতটা কার্যকরী হবেন। তা সে পছন্দের ক্ষেত্রটি যা হোক না কেন। ক্ষমতা অর্জন করতে গেলে আপনার শক্তিকে বিচক্ষণ হয়ে ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও সরঞ্জাম থাকলে শক্তিকে সমষ্টিগত করে ক্ষমতায় রূপান্তরিত করা যায়। তা না হলে শক্তি ক্ষয় হতে থাকে অনিশ্চিত চিন্তা অফুরন্ত প্রতীক্রিয়া দুরচিন্তার মাধ্যমে। আপনাদের প্রতিদিনের জীবনকে পর্যবেক্ষণ করুন। একটা সহজ জিনিস করুন, কতগুলো শব্দ আপনি একদিনে উচ্চারণ করেন। কখনো কি শুনেছেন তবে গুনা উচিত। আগামীকাল একটা হিসাব করুন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কতগুলো শব্দ উচ্চারণ করলেন। পরশুদিন 50 শতাংশ কমিয়ে দিন। আর বক্তব্য একই রাখুন। আপনি মানুষের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করছেন না যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু 50% কম শব্দে।ভাষার উপর আপনার দখল বারবেই।আর দেখবেন আপনার ভিতরে ব্যক্তিগত ক্ষমতাও বাড়তে থাকবে।। 
  ক্ষমতার ছবি


এখন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ রয়েছে এটা দেখানোর জন্য যে, আপনি শান্ত হয়ে এখানে বসে থাকার সময়ও অন্তত কুড়ি শতাংশ শক্তি ব্যয়িত হচ্ছে আপনার মস্তিষ্কের দ্বারা। আপনি এটাকে কমিয়ে আনলে আপনার মস্তিষ্ক অযাতা উঠানামা করা,পাগলের মত লাফালাফি করা এগুলো বন্ধ করবে। যদি এটা শান্ত হতে শেখে বা শান্ত হয় আর প্রয়োজনীয় কাজটুকুই করে যায় সেক্ষেত্রে প্রভৃত ব্যক্তিগত ক্ষমতার অনুভূতি তৈরি হবে। মনের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে পারবেন না।থামানোর চেষ্টা করলে এটা আরো পাগলামি করবে। অন্তত শরীরের সাথে এটা করুন। আপনার কথা এবং শরীরের নড়াচড়া 50% কমিয়ে দিন।এটা দেখতে চাইলে এটা দেখুন এটা দেখতে চাইলে ওটা দেখুন কিন্তু এটা ওটা ওটা এটা করবেন না। আপনার শরীর এবং কথার মাধ্যমে যদি এটা করেন ধীরে ধীরে মনও এরকম হয়ে উঠবে আর অপ্রয়োজনীয় কাজ করবে না। যখন আপনি অপ্রয়োজনীয়' কাজ বন্ধ করে দিবেন, আপনার শক্তি ধীরে ধীরে নিজেকে সম্ভাব্য ক্ষমতায় রূপান্তরিত করবে। তো এটা গড়ে তুলতে যে আসন অভ্যাস করেন, যে সূর্য নমস্কার করেন যদি আদৌ করেন অথবা অন্য যেসব ক্রিয়া বা অন্য যেসব জিনিস করেন তা মূলত এ ক্ষমতা গড়ে তলার জন্য। এটা অপ্রয়োজনীয় কাজের মাধ্যমে ক্ষয় করা উচিত নয়। এই মুহূর্তে আপনার মনের ভাবনা-চিন্তার সংখ্যা কমাতে পারবেন না । সেটাও করা যায় যদি নিজের মধ্যে একটা অনুরোনন সৃষ্টি করেন সহজ মন্ত্রের সাহায্যে। এটা যদি পাগলের মতো ছুটে কিছুক্ষণ মন্ত্রটি (ইষ্ট মন্ত্র জপ করার সময় মন্ত্রের অর্থ এবং যাঁর নাম তাঁকে মনের মধ্যে আনবে)জপ করুন একটা অনুরণন সৃষ্টি করুন দেখবেন এর মাধ্যমে প্রভূত পরিমাণে ব্যক্তিগত ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে। আপনার ভিতরের এই ক্ষমতা ছাড়া আপনি জীবনের মাত্রা গুলোকে অতিক্রম করতে পারবেন না। এই মুহূর্তে অধিকাংশ মানুষের কাছে ঈশ্বরের অর্থ শুধু শাস্ত্রের নীতিবাক্য ঈশ্বর কোন জীবন্ত অনুভূতি নয় তাদের কাছে। এটা জীবন্ত অনুভূতি হয়ে উঠতে গেলে স্রষ্টার মতো শক্তিশালী কিছু আপনার অনুভবে আসতে গেলে আপনার নিজের মধ্যে ক্ষমতার অনুভব থাকতেই হবে। এটা সর্বদাই বুঝতে হবে যে,ক্ষমতা মানে ক্বর্তিত্ব ফলানো নয় । ক্ষমতা মানে কার্যকারী হয়ে ওঠা। ক্ষমতা মানে দায়িত্বশীল অধিকারী হয়ে ওঠা। একমাত্র যখন নিজের মধ্যে এই ক্ষমতার শক্তিকে বহন করেন তখন জীবনের পথে অনায়াসে হেঁটে যান।কিছু যায় আসে না সমাজে আপনি কোথায় আছেন, কিছু যায় আসে না অর্থনৈতিকভাবে, বস্তুগত ভাবে আপনি কোথায় রয়েছেন। আপনি রাজার মতো হাঁটবেন কারণ আপনার ভেতরের ক্ষমতাই আপনাকে রাজারমত হাঁটাবে।
Next Post Previous Post
1 Comments
  • সনাতনী আলাপন
    সনাতনী আলাপন ১৬ মে, ২০২২ এ ১০:৫৮ PM

    Darun

Add Comment
comment url
"/>
"/>
"/>
"/>