রমনা কালী মন্দিরের ইতিহাস

 রমনা কালী মন্দির ছিল ঢাকার একটি মন্দির যা মুঘল সাম্রাজ্যের সময় শুরু হয়েছিল। এটি "রমনা কালীবাড়ি" নামেও পরিচিত ছিল। মন্দিরটি হিন্দু দেবী কালীকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এটি ছিল সাবেক ঢাকা রেসকোর্সের পাশে, এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। পুরো মন্দির কমপ্লেক্সটি প্রায় 2.25 একর জায়গা দখল করে এবং রমনা পার্কের দক্ষিণ পাশে ছিল, বাংলা একাডেমির বিপরীতে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় 27 মার্চ, 1971 সালে পাকিস্তানি সেনারা মন্দিরটি ধ্বংস করে দেয়। যেটুকু ধ্বংসাবশেষ ছিল, তাও ১৯৭৩ সালে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।  এটি বেশিরভাগ হিন্দু সম্প্রদায়ের গণহত্যার স্থান ছিল।

রমনা কালী মন্দির
রমনা কালীমন্দির 

রমনা কালী মন্দিরের অবস্থান ও ইতিহাস 

ঢাকা, বাংলাদেশ রমনা কালী মন্দিরটি রমনা কালীবাড়ি (হিন্দু দেবী কালীর বাড়ি) নামেও পরিচিত ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম বিখ্যাত হিন্দু মন্দির। এটি হাজার বছরেরও বেশি পুরনো বলে ধারণা করা হয় এবং এটি ঢাকায় (বর্তমান বাংলাদেশের রাজধানী) রমনা পার্কের উপকণ্ঠে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নামে পরিচিত) অবস্থিত ছিল। বর্তমান অবস্থা : রমনা কালী মন্দির এবং মা আনন্দময়ী আশ্রমের সীমানায় এখন বেশ কয়েকটি মন্দির রয়েছে- রমনা কালী মন্দির, মা দূর্গা মন্দির, রাধা কৃষ্ণ মন্দির প্রায় পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় রয়েছে৷ সেখানে আরও কিছু চলমান মন্দির নির্মাণ করা হবে যেমন - বাবা লোকনাথ মন্দির, মা আনন্দময়ী মন্দির, শিব মন্দির, শ্রী হরিচাদ ঠাকুরের মন্দির ইত্যাদি।
ঐতিহ্য
বহু ইতিহাসের সাক্ষী, ঢাকার ঐতিহাসিক  রমনা কালী মন্দিরের নতুন ভবন ও সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন করলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ, স্ত্রী সবিতা কোবিন্দ ও মেয়ে স্বাতী কোবিন্দকে সঙ্গে নিয়ে মন্দির প্রাঙ্গণে  অংশ নিলেন পূজা এবং আরাধনায়।তিনি বলেন, ৫০ বছর পর পুরানো অবয়বে ফিরে পেলাম ঢাকার ঐতিহাসিক রমনা কালী মন্দির...... মূল মন্দিরে ঢোকার সময় শাঁখ বাজিয়ে সনাতনী রীতিতে অভিবাদন জানানো হয় ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর পরিবারকে।

এই মন্দির ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক আর্মি প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল, হত্যা করা হয়েছিল মন্দিরের তৎকালীন সেবায়েতকে। সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে আবারো সেই রমনা কালী মন্দির প্রায় পুরনো অবয়বে ফিরে এলো। আজ আমি শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতার সাথে স্বরণ করছি ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রয়াত সুষমা স্বরাজকে। ২০১৬ সালে তিনি এই মন্দির পুনরায় তৈরি করার জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। তাঁর ঐকান্তিক ইচ্ছা এবং আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া ঐতিহাসিক এই মন্দিরটি পুনরায় তৈরি করা কখনোই সম্ভব হতোনা।  নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য আজ একটি বড় প্রাপ্তির দিন।।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
"/>
"/>
"/>
"/>