দেবকী ও বসুদেব কে এবং তাদের পূর্বজন্ম বৃত্তান্ত

দেবকী ও বসুদেবের পূর্বজন্ম বৃত্তান্ত জানার আগে, আমাদের জানতে হবে দেবু কিও বাসুদেব কে? 

বসুদেবঃ হিন্দু পুরাণ অনুসারে বসুদেব (দেবনাগরী : वसुदेव) হলেন যদুবংশীয় শূরসেনের পুত্র এবং কৃষ্ণের পিতা। বসুদেবের ভগিনী কুন্তী হলেন পাণ্ডুর স্ত্রী, যিনি মহাভারতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পুরাণ অনুসারে বসুদেব হলেন ঋষি কশ্যপের আংশিক অবতার। পিতার নামানুসারেই কৃষ্ণের এক নাম হল বাসুদেব। হরিবংশ পুরাণ অনুসারে বসুদেব ও নন্দ (কৃষ্ণের পালক পিতা) ছিলেন দুই ভাই।

দেবকীঃকংস এবং দেবকী ভোজবংশীয়। কংসের পিতা উগ্রসেন যাদবদের নেতৃস্থানীয় ছিলেন। উগ্রসেনের ভাই দেবকের কন্যা দেবকী।যদুবংশীয় রাজা শূরসেনের পুত্র বসুদেব দেবকীকে বিবাহ করেন।

দেবকী ও বসুদেব ছবি
দেবকী ও বসুদেব

দেবকী ও বসুদেবের পূর্বজন্ম বৃত্তান্ত

।। . কংসের কারাগারে চতুর্ভুজ রুপ ধারী পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মাতা দেবকীকে বললেন.....   “হে মাতঃ! স্বায়ম্ভুব মনুর সময় আমার পিতা বসুদেব সুতপা নামে একজন প্রজাপতি ছিলেন আর আপনি ছিলেন তাঁর পত্নী। আপনার নাম ছিল পৃশ্মি। সেই সময় ব্রহ্মা প্রজা বৃদ্ধি করার আকাঙক্ষায় আপনাদের সন্তান উৎপাদন করতে অনুরোধ করেন।    তখন আপনারা আপনাদের ইন্দ্রিয় সংযম করে কঠোর তপস্যা করেছিলেন। প্রাণায়াম করে আপনি এবং আপনার পতি জড়া প্রকৃতির সমস্ত নিয়মগুলি সহন করেছিলেন- বর্ষার বর্ষণ, গ্রীষ্মের তাপ, ঝড়-ঝঞ্ঝা সব আপনারা সহ্য করেছিলেন, তপশ্চর্যা পালন করে আপনারা কেবল গাছের ঝরা পাতা আহার করে জীবন ধারণ করেছিলেন,    তারপর আপনারা ইন্দ্রিয়নিগ্রহ করে একাগ্রচিত্তে আমার আরাধনা করে আমার কাছ থেকে কোনও অদ্ভুত বর প্রার্থনা করেছিলেন। আপনারা দেবতাদের গণনা অনুসারে ১২,০০০ বছর ধরে কঠোর তপস্যা করেছিলেন। সেই সময় আপনাদের চিত্ত কেবল আমাতেই সমাহিত ছিল।    আপনারা যখন ভক্তিযোগ অনুষ্ঠান করছিলেন এবং আপনাদের হৃদয়ে সর্বক্ষণ আমারই ধ্যান করছিলেন, তখন আমি অত্যন্ত প্রসন্ন হয়েছিলাম। হে নিষ্পাপ মাতঃ! আপনার অন্তঃকরণ নির্মল। সেই সময়েও আমি এই রূপ নিয়েই আপনার কাছে আবির্ভূত হয়েছিলাম আপনার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করার জন্য।    আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘আপনি কি কামনা করেন?’ সেই সময়ে আপনি বলেছিলেন, আমি যেন আপনার পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করি। যদিও আপনি তখন মুক্তি প্রার্থনা না করে আপনি কেবল আমাকে আপনার পুত্ররূপে কামনা করেছিলেন।”   পক্ষান্তরে বলা যায় যে, পরমেশ্বর ভগবান এই জড় জগতে আবির্ভূত হওয়ার জন্য পৃশ্নি এবং শতপাকে তাঁর পিতা-মাতারূপে মনোনীত করেছিলেন। ভগবান যখনই একজন মনুষ্যরূপে অবতরণ করেন, তখন তিনি তাঁর কোন ভক্তকে তাঁর পিতা-মাতারূপে গ্রহণ করেন। তাই তিনি পৃশ্মি এবং সুতপাকে তাঁর মাতা এবং পিতারূপে গ্রহণ করেছিলেন।    সেই জন্যই পৃশ্মি এবং সুতপা মুক্তি প্রার্থনা করেননি। ভগবানের চিন্ময় সেবার কাছে মুক্তি অত্যন্ত নগণ্য। ভগবান তৎক্ষণাৎ পৃশ্নি এবং সুতপাকে মুক্তি দিতে পারতেন, কিন্তু তিনি তাঁদের এই জড় জগতেই থাকতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, যাতে তাঁরা তাঁর মাতা এবং পিতারূপে তাঁর লীলায় তাঁর সঙ্গলাভ করার আনন্দ উপভোগ করতে পারেন।  ভগবানের কাছ থেকে তাঁর মাতা ও পিতা হওয়ার বর লাভ করে পৃশ্মি এবং সুতপা তাঁদের তপশ্চর্যা সমাপ্ত করে ভগবানকে তাদের পুত্ররূ।

এই ওয়েবসাইটটিতে আরো জানতে পারবেন 

বসুদেব ও দেবকী কে ছিলেন,

বসুদেব ও দেবকীর বিবাহ,

দেবকী বসুদেব,

বসুদেব দেবকী,

বাসুদেব দেবকি,

দেবকী,

কেন ভগবান বসুদেব দেবকীকে বর দিয়েছেন,

কেন ভগবান বসুদেব ও দেবকীর সন্তান হিসেবে জন্ম নিয়েছিলেন,

ভগবান কেন পিতা মাতা হিসেবে বসুদেব দেবকীকে পছন্দ করেছিলেন,

বসুদেব কৃষ্ণ দাস নাম যজ্ঞ কীর্ত্তন,

দেবকীর সন্তান,

দেবকীর ছয় পুত্র,

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কয়বার বসুদেব দেবকীর পুত্র হিসেবে জন্ম নিয়েছিলেন,

কংসের হাতে হত দেবকীর ছয় পুত্র

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
"/>
"/>
"/>
"/>