কেন আমরা এই পৃথিবীতে এলাম?।Why Are We Here?

Why Are We Here?।।কেন আমরা এই পৃথিবীতে এলাম? 

আমাদের কাছে অনেক দূরে রয়ে গেছে বরাবরই আমাদের সৃষ্টির রহস্য ।আমরা কেনো এই পৃথিবীতে এসেছি?ভগবান যদি আমাদের সৃষ্টিকর্তা হন,তিনি কি কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য আমাদের জীবনদান করেছেন?

কেন আমরা এই পৃথিবীতে এলাম?।Why Are We Here?
কেন আমরা এই পৃথিবীতে এলাম?।Why Are We Here?

> পৃথিবীতে আসার আগে অর্থাৎ মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থা পর্যন্ত বলি, "হে ভগবান! আমি যাচ্ছি মৃত্যুলোকে ধর্ম প্রচার কল্পে, তোমার সৃষ্টির রক্ষার জন্য কার্য, জপ-কীর্ত্তন ও নিজের পাপ মোচন করার জন্য।"

> কিন্তু যে মুহুর্তে মায়ের গর্ভে থেকে মাটিতে ধাবিত হই, তখন সুতা নামে এক বাতাস আমাদের পূর্ব জন্মের কথা মোছন করে দেয়। যার ফলে আমরা পূর্ব জন্মের সব কিছু ভুলে যাই। তারপর আমরা যেরকম সংস্কৃতি পাই, সেরকম ভাবে গড়ে উঠি।

> আজ যে পৃথিবীতে মানুষগুলো অধর্ম করছে বা খারাপ কাজ করছে, তা তাদের দোষ নয়। তাদের সংস্কৃতির অভাব রয়েছে, তাই তারা খারাপ কাজ করতে এতটুকু চিন্তা করে না এবং প্রতিদিন এই পথে ধাবিত হচ্ছে। সংস্কৃতি যদি না থাকে তাহলে সে কখনো ভালো কার্য বা চিন্ময় আত্মাকে জাগ্রত করতে পারবে না।

> পৃথিবীতে প্রতিদিন যে অধর্ম হচ্ছে তার প্রধান কারণ সংস্কৃতি নেই, যা মানুষদের প্রধান ঘাটতি তাহলো সংস্কৃতি। তাই সংস্কৃতির সবার প্রয়োজন। যার জন্য প্রধান ভূমিকা তার মা-বাবা শিক্ষক রাখার প্রয়োজন। তাই প্রত্যেক মা-বাবা সন্তানকে সঠিক সংস্কৃতি দেন।

#ভগবান_শ্রীকৃষ্ণ_গীতায়_বলেছেনঃ- "গীতা তার জ্ঞান। যে গীতার জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন তার আর কোনো শাস্ত্রের প্রয়োজন হবে না।" আর এতে করে আপনাদের কোনো সংস্কৃতির অভাব থাকবে না, আপনাদের নিজ কর্তব্য বুঝতে পারবেন।

আমাদের পৃথিবীতে আসার মূল উদ্দেশ্য কী?

এটির আসল উত্তর ছিল: আমরা পৃথিবীতে আসার মূল উদ্দেশ্য কী?

আমরা যদি পরমেশ্বরকে বিশ্বাস করি, তবে তিনি তাঁর উদ্দেশ্য নিয়েই আমাকে পাঠিয়েছেন, এটাই আমার দৃঢ় প্রত্যয় বা বিশ্বাস।

রাজা-জমিদারের ঘরে জন্মেও পরবর্তীতে, অনেকে ভিখিরি হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করে। আবার, নিতান্ত দীন-দুঃখীর ঘরে জন্মেও উচ্চতার শিখরে পৌঁছে যায়, ছোট্ট একটা নাম বলি । আমাদের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা বৈজ্ঞানিক A.P.J, Abdul Kalam Azad - এর নাম কে না জানে।

আবার, দৈত্যকুলে জন্মেও প্রহ্লাদের আবির্ভাব। স্বামীজি মধ্যবিত্ত ঘরে আবির্ভূত হয়েও সংসারধর্ম হেলায় ত্যাগ করে আর্ত ও পীড়িতের সেবায় নিজেকে সমর্পণ করেছেন, সমস্ত রকম গ্লানি হজম করেও হিন্দুধর্মকে চিকাগোতে ধর্ম-মহাসভায় শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসিয়েছেন। মহামুর্খ কালিদাসও মহা পণ্ডিত হয়েছিলেন, দস্যু রত্নাকর হয়ে উঠেছিলেন বাল্মীকি মুনি। তাঁরই রচনা রামায়ণ হিন্দুদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। সুতরাং যিনি পাঠিহয়েছেন, তিনিই যেভাবে চালাবেন, সেভাবেই আমাদের চলতে হবে। এটাই শিরোধার্য।

তবে একটা কথা, আমাদের চলার পথে সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়, কর্ম, অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি - এসব থেকে যেন বিচ্যুত না হই, সেদিকে যত্নবান হতে হবে।

 তাই আসুন ভগবানকে দেওয়া কথা পূরণ করি, নিষ্কাম কর্ম করি, খারাপ কার্য বা খারাপ পথ পরিত্যাগ করি। সময় থাকতে গীতামুখী হই ভগবানের নাম করি সে অনুযায়ী অন্তিম কালে সুফল মিলবে। তাই সময় থাকতে সাধন করুন সময় চলে গেলে আর সাধন হবে না।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
"/>
"/>
"/>
"/>