শিব পূজার নিয়ম ও শিব চতুর্দ্দশীতে জল বেল পাতা দিলে কি ফল লাভ হয়
শিবের মাথায় জল মহা শিবরাত্রি।
শিব চতুর্দ্দর্শীতে ভগবান শিবের মাথায় জল ও বেল পাতা দিলে কি ফল লাভ হয় ?
চতুর্দ্দশীতে জল ও বেল পাতা দিলে কি ফল লাভ হয় এবং কি করনীয়?চতুর্দ্দশীতে বর্জনীয় বিষয় কি! ব্রতকথাঃ বহু কাল আগে বারাণসী তে এক ব্যাধ ছিল।দিবারাত্রি সে শুধু জীব হত্যা করত।একদিন ব্যাধ শিকার করতে গিয়ে সারা দিনে কোন শিকার পেলোনা শেষে একটি পাখি দেখতে পেলো এবং পাখিটিকে মেরে নিয়ে যেতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো অবসেষে ব্যাধ বাড়ির দিকে রওনা হল। কিন্তু ব্যাধ কিছুটা এগোতেই রাত্রি হয়ে গেল।অন্ধকার রাত্রিতে পথ দেখা যায় না।সে তখন একটা গাছের নিচে আশ্রয় নিল।
আর মনে মনে ভাবতে লাগলো সারা দিন ভরে এত পরিশ্রম করে সামান একটি পাখি পেলাম এতেতো আমাদের দুজনের খাবার হবেনা কিন্তু হটাৎ গভীর জঙ্গলে হিংস্র পশুর ডাক শুনে সে ভয়ে গাছের ডালে উঠে বসল। আর গাছটি ছিল বেল গাছ, তখন ব্যাধ চিন্তা করলেন আজ আর বাড়ি ফেরা হবে না তাই আজ রাতরীটা গাছে বসে কাটিয়ে দিবে এসব কথা ভাবতেই ব্যাধের চোখে ঘুম এসেগেল হটাৎ দমকা বাতাসে ব্যাধের ঘুম ভেংগে গেল আর ব্যাধ ভাবলেন আজ বুঝি এখানেই আমার মূত্যু হবে সে তার মনের ভয় কাটানোর জণ্য ভগবান শিবকে সরন করলেন আর মনে মনে বলতে লাগলেন, ওঁ নমঃ শিবায় এই মন্ত্র জব করা জন্য ব্যাধের মনে অনেক সাহশ এসে গেলো ব্যাধ তখন বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ব্যাধ তখন গাছের ডালে উঠে দারালো কিন্তু গাছের নিচে ছিল একটা শিব লিঙ্গ।ব্যাধ গাছের ডালে বসে নড়ে চড়ে উঠতেই শিশিরে ভেজা একটা বেল পাতা খসে পড়ল ব্যাধের শরিলকে স্পর্স করে সেই শিব লিঙ্গের মাথায়।
সেই দিন ছিল শিব চতুর্দ্দশী।ব্যাধ ও ছিল উপবাসী।তাই শিবের মাথায় বেল পাতা পরতেই শিব সন্তুষ্ট হলেন।ব্যাধ কিছুই জানতেন না, তবু তার শিব চতুর্দশী ব্রতের ফল লাভ করা হল।অবশেষে ব্যাধ বাড়ি ফিরে এল, সকলে তার জন্য চিন্তা করছিল।ব্যাধ ফিরে আসতে তার বৌ ঘরে সামান কিছু খাবার ছিল সে গুলো তাকে খেতে দিল।এমন সময় এক অতিথি এলে, ব্যাধ তাকে খাবার গুলি দিয়ে দিল।তাতে ব্যাধকে সারা দিন সারা রাত উপবাস থাকতে হল সেই কারনে ব্যাধের পূর্ণের ফল লাভ হলো। কিছু দিন বাদেই ব্যাধ অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন।যমদূতেরা তাকে নিতে আসল কারন ব্যাধ জীবনে অনেক প্রাপ করেছে তাই তাকে যমলোকে যেতে হবে কিন্তুু এমন সময় শিবদূতেরাও এল।
শিবের মাথায় জল ঢালার ছবি |
সেই দিন ছিল শিব চতুর্দ্দশী।ব্যাধ ও ছিল উপবাসী।তাই শিবের মাথায় বেল পাতা পরতেই শিব সন্তুষ্ট হলেন।ব্যাধ কিছুই জানতেন না, তবু তার শিব চতুর্দশী ব্রতের ফল লাভ করা হল।অবশেষে ব্যাধ বাড়ি ফিরে এল, সকলে তার জন্য চিন্তা করছিল।ব্যাধ ফিরে আসতে তার বৌ ঘরে সামান কিছু খাবার ছিল সে গুলো তাকে খেতে দিল।এমন সময় এক অতিথি এলে, ব্যাধ তাকে খাবার গুলি দিয়ে দিল।তাতে ব্যাধকে সারা দিন সারা রাত উপবাস থাকতে হল সেই কারনে ব্যাধের পূর্ণের ফল লাভ হলো। কিছু দিন বাদেই ব্যাধ অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন।যমদূতেরা তাকে নিতে আসল কারন ব্যাধ জীবনে অনেক প্রাপ করেছে তাই তাকে যমলোকে যেতে হবে কিন্তুু এমন সময় শিবদূতেরাও এল।
শিবদূতদের দেখে যমদূতেরা বলেন আপনারা এখানে কিসের জণ্য এসেছেন তখন শিবদূতেরা বলেন সয়ং মহাকাল মহাদেব তাদের আদেশ করেছেন ব্যাধকে কৈলাশে প্রভু শিবের সরনে নিয়ে যেতে হবে যমদূতেরা বলেন কালদেব ধর্মের রাজা যমরাজ তাদের আদেশ করেছেন ব্যাধকে যমলোকে নিয়ে যেতে হবে তখন তাদের দুজনের মধ্যে খন্ড যুদ্ধ বাধল, যম দূতেরা হেরে গেল, শিব দূতদের কাছে তখন শিবদূতেরা ব্যাধ কে কৈলাসে নিয়ে গেল।যম দূতেরাও তাদের পেছনে পেছনে গেল।কৈলাস দ্বারে নন্দী পাহারা দিচ্ছিলেন।সে যমদূতদের সবকথা বলল।সেকথা শুনে তারা যমরাজ কে গিয়ে জানালো।যমরাজ বললেন-হ্যাঁ যে শিব ভক্ত তারা যোদি মুক্তি লাভ করে তাহলে তাদের উপরে জম রাজের কোন হাত থাকেনা তারা শিব লোকে চলে যায়। আর যারা ব্রক্ষার ভক্ত তারা মুক্তি লাভ করলে ব্রক্ষ লোকে চলে যায়। আর যারা বিষ্ণু ভক্ত তারা মুক্তি লাভ করলে বৈকুন্ঠে চলে যায়। আর যে শিব চতুর্দ্দশী ব্রত করে এবং যে বারাণসী ধামে মারা যায়, তার উপরে আমার কোন অধিকার থাকে না।তার পর থেকে এই ব্রতের কথা চারিদিকে প্রচলিত। শিব হলো শক্তি শিব হলো মুক্তি„ শিবের মাথায় ঢালো জল শিব তোমায় দিবে ফল" ঔঁ নমঃ শিবায়।সবার জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে।
শিবের প্রনাম মন্ত্র
শিবের প্রনাম মন্ত্র ॥ শিব প্রণাম মন্ত্র ॥ নমঃ শিবায় শান্তায় কারুণাত্রায় হেতবে নিবেদিতামি চাত্মানং ত্বং গত্বিং পরমেশ্বর॥ সরলার্থ : তিন কারণের (সৃষ্টি, স্থিতি ও বিনাশের) হেতু শান্ত শিবকে প্রণাম । হে পরমেশ্বর তুমিই পরমগতি । তোমার কাছে নিজেকে সমর্পণ করি । 🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱 "তস্মৈ নমঃ পরমকারণ কারণায় দীপ্তোজ্জ্বলজ্জ্বলিত পিঙ্গললোচনায়! নাগেন্দ্রহাররকৃত কুন্ডলভূষণায় ব্রহ্মেন্দ্রবিষ্ণু বরদায় নমঃ শিবায়!!" ---যিনি কারণের পরম কারণ, যাঁর অতি উজ্জ্বল দেদীপ্যমান পিঙ্গল নয়ন, কুন্ডলীকৃত সর্পরাজের হার যাঁর কন্ঠভূষণ, ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং ইন্দ্রাদি দেবতাকে যিনি বর প্রদান করেন, সেই পরম শিবকে আমার প্রনাম!!" 🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱
শিব পূজার নিয়ম
শিবের ধ্যান ---- একটি ফুল নিয়ে (সম্ভব হলে কূর্মমুদ্রায় ফুলটি নেবেন) শিবের ধ্যান করবেন। শিবের সাধারণ ধ্যানমন্ত্র ও বাণেশ্বর ধ্যানমন্ত্র দুটি নিচে দেওয়া হল ---- সাধারণ ধ্যানমন্ত্র ---- ওঁ ধ্যায়েন্নিত্যং মহেশং রজতগিরিনিভং চারুচন্দ্রাবতংসং রত্নাকল্পোজ্জ্বলাঙ্গং পরশুমৃগবরাভীতিহস্তং প্রসন্নম্। পদ্মাসীনং সমন্তাৎ স্তুতমমরগণৈর্ব্যাঘ্রকৃত্তিং বসানং বিশ্বাদ্যং বিশ্ববীজং নিখিলভয়হরং পঞ্চবক্ত্রং ত্রিনেত্রম্।। 🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱ॐ🔱 বাণেশ্বর শিবের ধ্যান --- ঐঁ প্রমত্তং শক্তিসংযুক্তং বাণাখ্যঞ্চ মহাপ্রভাং। কামবাণান্বিতং দেবং সংসারদহনক্ষমম্।। শৃঙ্গারাদি-রসোল্লাসং বাণাখ্যং পরমেশ্বরম্। এবং ধ্যাত্বা বাণলিঙ্গং যজেত্তং পরমং শিবম্।। স্নান ---- এরপর শিবকে স্নান করাবেন। গঙ্গাজলে শুদ্ধজলে চন্দন মিশ্রিত করে ঘণ্টা বাজাতে বাজাতে শিবকে স্নান করাবেন এই মন্ত্রে শিবকে স্নান করাবেন ----- ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্। উর্বারুকমিব বন্ধনান্মৃত্যোর্মুক্ষীয় মাঽমৃতাৎ।। ওঁ তৎপুরুষায় বিদ্মহে মহাদেবায় ধীমহি তন্নো রুদ্রঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ। সাধারণ শিবলিঙ্গ ও বাণেশ্বর -- উভয়ক্ষেত্রেই স্নান মন্ত্র এক। প্রধান পূজা -- স্নানের পর আরেকবার আগের ধ্যানমন্ত্রটি পাঠ করে শিবের ধ্যান করবেন। তারপর মনে মনে উপচারগুলি শিবকে উৎসর্গ করে মানসপূজা করবেন।
সীতাকুণ্ডে শিব চতুর্দশী
সীতাকুণ্ডে শিব চতুর্দশী উপলক্ষে তীর্থযাত্রীদের করণীয়: রাত্রিকালে ভুলক্রমেও চন্দ্রনাথে আরোহন করবেন না। এই যাত্রা কৌতূহলোদ্দীপক হলেও আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য অত্যন্ত নিদারূণ যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে | তাই সাবধান! সীতাকুন্ডে আসার পূর্বেই আপনার গায়ে পরিহিত ছোট বা বড় যেকোন ধরনের স্বর্ণবস্ত্র বাড়িতে রেখে আসবেন। তীর্থ করতে বা আপনার প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন অর্থ সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন না। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে করে না নিয়ে আসাই ভাল। প্রতিবারই আমরা এই ব্যাপারে আপনাদের সচেতন করার চেষ্টা করছি, তবুও চুরি, ছিনতাই মেলার সময় নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশাকরি আপনারা আরও বেশী সচেতন হবেন। রাত্রে নির্জন কোনো স্থানে রাত্রিযাপন করবেন না। আপনাদের রাত্রি যাপন করার জন্য অনেক তীর্থযাত্রী নিবাস রয়েছে। সেইগুলির কোনো একটিতে আশ্রয় গ্রহণ করবেন। নতুবা কোনো মন্দির প্রাঙ্গনে যেখানে রাতভর হরিনাম হচ্ছে সেখানে যোগ দিতে পারেন। খুব ভোরে ব্যাসকুণ্ড থেকে স্নান করে, ভৈরব মন্দির এ প্রনাম করে আপনার তীর্থযাত্রা শুরু করুন।
স্নান করার জন্য মা-বোনদের জন্য শুধুমাত্র নির্ধারিত ঘাটেই মা বোনেরা স্নান করবেন। আপনারা সকলের জন্য নির্ধারিত বা পুরুষদের সঙ্গে ঘাট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। মা বোনেরা স্নান করতে নামার সময় সঙ্গে করে অতিরিক্ত কাপড় ও গামছা/ তোয়ালে সাথে করে নিয়ে স্নান করতে ব্যাস কুন্ডে নামবেন। স্নান শেষে তোয়ালে বা গামছা ভাল করে গায়ে জড়িয়ে শুধুমাত্র মা-বোনদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় (ঘেড়াও দেওয়া) কাপড় পরিবর্তন করবেন। ভৈরব মন্দির দর্শন শেষে আপনাদের পরবর্তী গন্তব্য স্থল হচ্ছে মহাদেব বাড়ি। সেখানে যাবার পথে আপনি হনুমান মন্দির, সীতার কুণ্ড ইত্যাদি পাবেন। কিন্তু এই সব স্থানে সময় নষ্ট না করে, আপনার মূল লক্ষ্য চন্দ্রনাথ দর্শন মাথায় রেখে অগ্রসর হতে হবে। কারণ সূর্য উঠে গেলে আপনার তীর্থভ্রমণ ক্লেশকর হয়ে উঠতে পারে। তাই মহাদেব মন্দির প্রনাম করেই বিরুপাক্ষ মন্দিরের উদ্দেশ্যে আপনার যাত্রা শুরু করুন। মহাদেব বাড়ি হতে যাত্রার প্রতিটা মহুর্ত্তে আপনাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কোনো ভাবে তাড়াহুড়ো বা দৌড়া-দৌড়ি করা থেকে বিরত থাকবেন, এবং অন্যদের বিরত থাকতে অনুরোধ করে, সারিবদ্ধ ভাবে বিরুপাক্ষ আরোহন করবেন। একসাথে কয়েজন মিলে দলবেধে চন্দ্রনাথ যাত্রা করবেন। মহিলা ও সঙ্গে যদি শিশু থাকে তাহলে সাথে কয়েকজন করে পুরুষ সহযাত্রী অবশ্যই থাকবেন। আবারও বলছি, পরিধানে কোনো স্বর্ণ বস্ত্র ধারণ করবেন না। চন্দ্রনাথ দর্শন শেষে নামতে একই ভাবে দলবেধে যাত্রা করবেন। যাত্রা পথে আপনার সহযাত্রী কোন ভাই বা বোন বিপদে পড়লে সবাই মিলে তাকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসুন। আপনাদের একতাই সকলের (তীর্থযাত্রীদের) বল। সীতাকুন্ড সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম তীর্থস্থান হলেও বর্তমানে এখানে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক খুবই নগন্য। মেলায় তাই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
বিরুপাক্ষ মন্দিরে পৌঁছার পর আপনি কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে, মন্দিরে পূজা ও প্রণাম শেষে আবার চন্দ্রনাথের পথে যাত্রা শুরু করুন। একটি কথা না বললেই নয়, মেলার সময় সীতাকুন্ড মেলা কমিটির উদ্যেগে তীর্থ যাত্রীদের কাছথেকে অনেক প্রণামী ও অনুদান সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু মেলা শেষে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মন্দিরের উন্নয়ন বা রাস্তাঘাট মেরামত বা পরবর্তী তীর্থযাত্রার জন্য কোন কাজ না করে নিজেরাই ভাগ বাটোয়ারা করে নেন। সুতরাং কোনো আবেগময় প্ররোচনায় প্রলোভিত হবেন না। চন্দ্রনাথে পৌঁছে সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও বিনীতভাবে আপনার পূজা ও অর্ঘ্য নিবেদন করুন। আপনার কারণে অন্য তীর্থযাত্রী ভাইবোনদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা দেখে নিন। তা হলে আপনার তীর্থ সফল হবে না। দান -:মেলার সময় চন্দ্রনাথ ও এর আশেপাশে যাদের দেখা যায় তাদের অধিকাংশই ভাসমান ভিক্ষুক। খেয়াল রাখবেন আপনার দান যেন কোনো অযোগ্য ব্যক্তিকে, অনাদরে ও অবজ্ঞা সহকারে না করা হয়। তাহলে তা তামসিক দান হয়ে যাবে। যথার্থ ব্রাহ্মণ বা সাধু-সন্ন্যাসী খুঁজে পেলেই তবেই দান করবেন। তাছাড়া স্থানীয় শংকর মঠে কিছু অনাথ আশ্রয় আছে, সেখানে গিয়ে অনাথদের জন্য আপনি দান করতে পারেন।
কোন মন্দিরের উন্নয়নে দান করতে চাইলে শুধুমাত্র মন্দির কর্তৃপক্ষকে প্রমাণ সাপেক্ষে দান করুন। চন্দ্রনাথ দর্শন শেষে নামার সময় খুবই সাবধানতা অবলম্বন করবেন।কারণ এই পথটিই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। মহিলা ও শিশুদের সাথে কয়েকজন করে পুরুষ সহযাত্রী অবশ্যই থাকবেন। পরিধানে কোনো স্বর্ণ বস্ত্র ধারণ করবেন না। চন্দ্রনাথ দর্শন শেষে নামতে একই ভাবে দলবেধে যাত্রা করবেন। এরপর পুনরায় মহাদেব বাড়িতে পৌঁছে, সেখান থেকে সব মঠ-মন্দির দর্শন করতে করতে সীতাকুন্ড বাজারের দিকে এগিয়ে যান এবং আপনার একটি সুন্দর ও স্বার্থক তীর্থযাত্রা সফল করে তুলুন। 👉 সবাইকে জানানোর জন্য শেয়ার করুন। ধন্যবাদান্তে- সীমা সরকার
হর হর মহাদেব
সুন্দর উপস্থাপন। জয় মহাদেবের জয়।।