হিন্দুদের তীর্থস্থান বৃন্দাবন ভ্রমণ

বৃন্দাবনের কথা ভাবলেই বাঙালির মনে যে ছবিটা ভেসে ওঠে সেখানে একদিকে চিরপরিচিত পদাবলি-কীর্তনের বৃন্দাবনবিলাসিনী রাই অন্যদিকে বাঙালি বিধবা আর মহাস্থবির জাতক এর সেই ভিখারিনীরা যারা ভোর হতে না হতেই দলে দলে বেরিয়ে পড়ে রাস্তায় আর বিশেষ করে নতুন মুখ ও যাত্রী দেখলেই ছেঁকে ধরে। সনাতন গোস্বামীকে চৈতন্য বলেছিলেন, ‘নিজ প্রিয় স্থান আমার মথুরা বৃন্দাবন’। চৈতন্য নিজে বার বার বৃন্দাবনে যেতে চেয়েছেন। প্রথম দুবার চেষ্টা করেও পারেননি। শেষ পর্যন্ত তিরিশ বছর বয়সে নীলাচল থেকে ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে কাশী প্রয়াগ মথুরা হয়ে বৃন্দাবন পৌঁছলেন চৈতন্য। সঙ্গে ছিলেন বলভদ্র ভট্টাচার্য। বৃন্দাবন কি? খ্রীষ্টিয় একাদশ শতাব্দীতে গজনীর মামুদ মথুরা ও মহাবন আক্রমণ ও ধ্বংস করে তীর্থের গৌরব একেবারে নষ্ট করে ফেলেন। বৃন্দাবন প্রকৃত অর্থেই বনে পরিণত হয়ে যায়। দাসরাজ কুতবুদ্দিনের সময়ে মথুরামণ্ডল দিল্লী রাজ্যের অধিভূক্ত হয়। সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে বৃন্দাবনের অদৃষ্ট সুপ্রসন্ন হয়।

মথুরা বৃন্দাবন 

 এ সময়ে চৈতন্যদেবের আদেশে সনাতন, রূপ প্রভৃতি গৌড়ীয় বৈষ্ণবগণ বৃন্দাবনে এসে বাস করেন এবং হারানো তীর্থ গৌরব পুণরুদ্ধারে যত্নবান হন।বৃন্দাবনে কতগুলো মন্দির রয়েছে? বৃন্দাবনের মন্দিরসমূহঃ মদনমোহন মন্দির: পুরাতন মন্দির তিনটি ব্যবহার উপযোগী না দেখে চব্বিশ পরগণা জেলায় অবস্থিত বহড়ু গ্রামের জমিদার দেওয়ান নন্দকুমার বসু ৮১২১ খ্রীঃ বহু টাকা ব্যয় করে তিনটি মন্দির প্রস্তুত করেন। পরবর্তীকালে অন্য যে সকল বিগ্রহগুলোর জন্য মন্দিরগুলো প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা হলো- শেঠের মন্দির, সাহাজীর মন্দির, ব্রহ্মচারীর মন্দির, লালাবাবুর মন্দির অন্যতম। দর্শনীয় স্থানসমূহঃ নিধুবন, কেশীঘাট, ব্রহ্মকুণ্ড, গোপীস্বর মহাদেব, চৌষট্টিমহান্তের সমাজ, সাজাহনপুরের লালা ব্রজকিশোর ক্ষত্রীর প্রতিষ্ঠিত রাধাবিনোদের মন্দির, তানসেন গুরু হরিদাস স্বামীর প্রতিষ্ঠিত বাঁকে বিহারীর মন্দির উল্লেখযোগ্য। বৃন্দাবনের বিবরণঃ বৃন্দাবনের পরিধি পাঁচ ক্রোশ। দ্বাদশঘাট এটির অন্তর্গত। ব্রজচৌরাশি ক্রোশের পরিক্রমাকে ‘বন’ করা বলে। এ পরিক্রমা ভাদ্র কৃষ্ণা দশমীতে আরম্ভ করে ভাদ্র শুক্লা দশমীতে শেষ হয়। বনগুলোর নাম হলো- মধুবন, তালবন, কুমুদবন, বহুলাবন, কামাবন, খদিরবন, বৃন্দাবন, ভদ্রবন, ভাণ্ডিরবন, খেলনবন, লৌহবন ও মহাবন। গোকুল, গোবর্ধন, নন্দগ্রাম, বর্ষাণ প্রভৃতি স্থানগুলো ২৪ উপ-বনের অন্তর্গত। বৃন্দাবন (এই শব্দ সম্পর্কেpronunciation (সাহায্য·তথ্য)) হল ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মথুরা জেলার অন্তর্গত একটি শহর। ঈশ্বর পরম রাধামাধব এখানে নিজেদের সচ্চিদানন্দ ছেলেবেলার লীলা প্রকাশ করে থাকেন । শহরটি ঈশ্বর পরম রাধামাধবের ভূ লোকের লীলা ভূমি জেলাসদর মথুরা থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে আগ্রা-দিল্লি হাইওয়ের (২ নং জাতীয় সড়ক) উপর অবস্থিত।বৃন্দাবন শহরে রাধা ও কৃষ্ণের অনেকগুলি মন্দির আছে। হিন্দু ধর্মের বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের কাছে এটি একটি পবিত্র তীর্থস্থান। বৃন্দাবন -वृंदावन,ব্রজ্,শহর,মদনমোহন মন্দির, বৃন্দাবন ডাকনাম: ব্রজভূমি বৃন্দাবন উত্তর প্রদেশ-এ অবস্থিত বৃন্দাবন। ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মানচিত্রে বৃন্দাবনের অবস্থান স্থানাঙ্ক: ২৭.৫৮° উত্তর ৭৭.৭° পূর্ব দেশ- ভারত রাজ্য-উত্তরপ্রদেশ জেলা-মথুরা উচ্চতা-১৭০ মিটার (৫৬০ ফুট) জনসংখ্যা (২০১১)[১]- মোট ৬৩,০০৫ ভাষা- সরকারি-ব্রিজ সময় অঞ্চল-ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) পিন-২৮১১২১


Next Post Previous Post
1 Comments
  • সনাতনী আলাপন
    সনাতনী আলাপন ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ এ ১২:৪০ PM

    হরে কৃষ্ণ

Add Comment
comment url
"/>
"/>
"/>
"/>