অযোধ্যার রামমন্দির পাকিস্তানের করাচী থেকে দেখা যাবে!

অযোধ্যার রামচন্দ্রের মন্দির ও তার বর্ণনা 

শ্রী শ্রী রামচন্দ্রের পরিচয় শ্রী শ্রী বিষ্ণুর সপ্তম অবতার রাম। রামের জন্মস্থান বলা হয় যে  স্থানটিকে তাকে রামের জন্মভূমি বলা হয়।অনেক ত্যাগ ও  প্রতিক্ষার পরে নতুন করে শুরু হয় রামমন্দির নির্মাণের। সেই নির্মাণের তাগিদে এবার সেখান থেকে অন্যত্র সরবেন রামলালা।এজন্য কাছেই একটি বুলেটরোধী মেকশিফট মন্দিরে আপাতত রামলালাকে রাখা হবে বলে ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

ram temple/thehindu9.blogspot.com


ভারত দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) রাম মন্দিরের (Ram Mandir) পথ প্রসস্থ করেছে, গত বছর ৯ নভেম্বর রাম মন্দিরের পক্ষে রায় দিয়ে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সম্প্রতি রাম মন্দির নির্মাণের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করেছে কেন্দ্র সরকার। এমনকি ওই ট্রাস্টে সর্বপ্রথম ১ টাকা দান করে শুভ সূচনা করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনও আভাষ পাওয়া যাচ্ছে যে, আগামী রামনবমী থেকে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হতে পারে।

বিশ্ব  হিন্দু পরিষদ (VHP) এর কার্যকরী সভাপতি রাম বিলাস বেদান্তি দাবি করেছেন যে, রাম মন্দির নির্মাণের জন্য আরও অনেক জমি দরকার।বিশ্ব  হিন্দু পরিষদ

(VHP)এর তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে,রাম মন্দির নির্মাণের জন্য যে ৬৭ একর জমি রয়েছে, সেখানে সুবিশাল মন্দির তৈরি সম্ভব নয় তাই গগনচুম্বী মন্দির তৈরির জন্য চাই আরও কিছু জমি।


এছাড়াও রাম বিলাস বেদান্তি দাবি করে বলেন,অযোধ্যায় রাম মন্দির অবশ্যই সুবিশাল ভাবে তৌরি করতে হবে। মন্দির এতটাই বড় হতে হবে যাতে, শ্রীলঙ্কার কলম্বো ওপাকিস্তানের ইসলামাবাদ এবল নেপালের কাঠমাণ্ডু থেকে দেখা যায়। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ নিজেই বলেছেন যে, আকাশচুম্বী রাম মন্দির হবে। উনি বলেন, আকাশচুম্বী রাম মন্দির তৈরি করতে দরকার আরও জমি।বেদান্তিকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় যে, রাম মন্দির নিয়ে যারা এতদিন লড়ে এসেছেন তাঁদের রাম মন্দির ট্রাস্টে নাম নেই কেন? তখন তিনি বলেন, রাম মন্দিরের জন্য যারা লড়াই করেছেন তাঁরা অনেকেই নির্বাচনে লড়াই করেছেন। আর তাঁদের অনেকের নামে মামলাও রয়েছে। সেই হিসেবেই রাম মন্দির ট্রাস্টে তাঁদের নাম রাখা সম্ভব হয়নাই।

উল্লেখযোগ্য যে, মন্দির নির্মাণ কার্য আরম্ভ করার জন্যে রাম লালা মূর্তিটি অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। সে মূর্তির উচ্চতা ১৫০ ফুট।

রাম মন্দির নির্মাণ সমিতির অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্ৰ মিশ্ৰ অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে গত কিছুদিন পূর্বে সমগ্র এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।আনুষ্ঠানিক তথা মূল মন্দিরের নির্মাণ কার্য কবে নাগাদ শুরু হচ্ছে তা খুব শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্মাণ কমিটির কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা।

সর্বশেষ তিনি জানিয়েছেন -পাকিস্তানের ইসলামাবাদ থেকে দেখা যাবে রাম মন্দির! দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের।
                জয় শ্রী রাম।।
রাম মন্দির/thehindu9.blogspot.com
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
"/>
"/>
"/>
"/>