শ্রীল প্রভুপাদের নির্দেশসমূহ ও করণীয়

অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ

ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ বা শীল প্রভুপাদ  ১৪ ই নভেম্বর ১৮৯৬ সাল থেকে ১৪ ই নভেম্বর১৯৭৭ পযন্ত একজন ভারতীয় গৌড়ীয় বৈষ্ণব গুরু ও যিনি ইসকন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বা হরেকৃষ্ণ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।তাই ইসকনের সদস্যরা শ্রীল প্রভুপাদ কে চৈতন্য মহাপ্রভুর প্রতিনিধি ও বার্তা বাহক হিসেবে দেখেন।শ্রীল প্রভুপাদ বর্তমানে কলকাতার সুবর্ণ বণিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
 তার শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করেন স্কটিশ চার্চ কলেজে।একসময় একটি ছোট ফার্মাসিউটিক্যাল ব্যবসায় কাজ করার সময় তিনি ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতীর অনুগামী হন।১৯৫৯ সালে ব্যবসার জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি সন্ন্যাসী হওয়ার জন্য তার পরিবার-পরিজন ত্যাগ করেন এবং বৈষ্ণব ধর্ম গ্রন্থের ভাষা লিখতে শুরু করেন।একজন ভ্রমণকারী বৈষ্ণব সন্ন্যাসী হিসেবে, তিনি ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসকনের নেতৃত্বের মাধ্যমে ভারতে এবং বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মতত্ত্বের একজন প্রভাবশালী যোগাযোগকারী বার্তাবাহক হয়ে ওঠেন।
প্রভুপাদ ছবি
শ্রীল প্রভুপাদ ছবি

স্বামী প্রভুপাদ যেমন অন্যান্য ধর্ম-বিরোধী দলগুলির দ্বারা সমালোচিত হন তেমনি আবার বেশ কিছু আমেরিকান ধর্মীয় পণ্ডিতদের দ্বারা প্রশংসিত হয়।তাকে একজন ক্যারিশম্যাটিক নেতা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং ভারত সহ অনেক দেশে অনুসারী অর্জনে সফল ছিলেন।১৯৭৭ সালে তাঁর মৃত্যুর পর, ইসকন, যে সমাজ তিনি হিন্দু কৃষ্ণধর্মের একটি ফর্মের উপর ভিত্তি করে ভাগবত পুরাণকে কেন্দ্রীয় ধর্মগ্রন্থ হিসাবে ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে।

শ্রীল প্রভুপাদের নির্দেশসমূহ ও করণীয়

✨🍀আধ্যাত্মিক শক্তি গুরুদেবের নির্দেশ পালনের মাধ্যমে আসে..✨🌻আমাদের সমস্ত শিক্ষা শ্রীল প্রভুপাদের শিক্ষার উপর ভিত্তি করে...আমাদের কাছে কোন শিক্ষা যা শ্রীল প্রভুপাদের শিক্ষা না,তা গ্রহনযোগ্য নয়.. 
🌻শ্রীল প্রভুপাদ বলেছেন,উনার যত নির্দেশ রয়েছে তার মধ্যে প্রত্যেকদিন ১৬ মালা জপ করা হচ্ছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ..শ্রীল প্রভুপাদ চৈতন্যচরিতামৃতের তাৎপর্যে বর্ননা করেছেন,"শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর অনুগত ভক্তদের প্রতিদিন  অত্যন্ত ১৬ মালা জপ করা অবশ্য কর্তব্য..এইটি আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃতসঙ্ঘের নির্ধারিত সংখ্যা..হরিদাস ঠাকুর প্রত্যেকদিন ৩ লক্ষ নাম জপ করতেন..১৬ মালা জপ করলে প্রায় ২৮ হাজার নাম গ্রহণ হয়..হরিদাস ঠাকুর বা গোস্বামীদের অনুকরণ করার প্রয়োজন নেই..তবে প্রতিদিন সংখ্যাপূর্বক ভগবানের নাম করা প্রতিটি ভক্তের কর্তব্য.." 
🌻যখন লোকনাথ মহারাজ প্রভুপাদকে জিজ্ঞাসা করেছেন।

প্রভুপাদ কেন ১৬ মালা জপ করতে বলেছেন ?

প্রভুপাদ উত্তরে এই বিষয়টার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন...প্রভুপাদ বলেছিলেন,আমি বলেছি কমপক্ষে ১৬ মালা..আমি বলিনি যে বেশি করতে পারবে না.. প্রভুপাদ বলেছেন,ইসকন ভক্তদের কমপক্ষে ১৬ মালা জপ করতে হবে.. 
🌻গুরুদেবের এই নির্দেশ পালন-ই আমাদের আধাত্মিক জীবনের শক্তি..তা না হলে আমরা শক্তি কোথায় পাবো..?আধাত্মিক শক্তি গুরুদেবের নির্দেশ পালনের মাধ্যমে পাওয়া যায়.. প্রচেষ্টার মাধ্যমে সেই শক্তিটা আসে..কারন আমাদের কোন আধাত্মিক শক্তি বা যোগ্যতা নেই.. 
🌻কিন্তু বৈষ্ণব ইতিহাসে আপনি দেখবেন যখন কোন ঐকান্তিক ভক্ত তাঁর গুরুদেবের আদেশ পালন করার জন্য ঐকান্তিক ভাবে চেষ্টা করছে, তখন সে অসাধ্য সাধন করতে পারে.. যে ভক্ত ঐকান্তিক ভাবে তার গুরুদেবের নির্দেশ পালন করবে সে অসাধ্য সাধন করতে পারবে.. আমরা দেখেছি ইসকনের প্রারম্ভে, ইসকনের ভক্তরা, প্রভুপাদের শিষ্য শিষ্যারা কি অলৌকিক ভাবে সমস্ত কার্যকলাপ করেছেন, যা অবর্ননীয়..এ শক্তি তারা কোথায় পেলো..?প্রভুপাদের নির্দেশ পালন করার মাধ্যমে.. 

  
🌻প্রভুপাদ বলেছেন, তাই তারা করেছে..ব্যাস আর কোনোও কথা নেই..প্রভুপাদ একবার তাঁর এক ভক্তকে চিঠির মাধ্যমে বলেছেন,তুমি পাকিস্তান চলে যাও...কোনো কথা নেই,কোথায় যাবে, কিভাবে যাবে, চিনা পরিচিত কোন ব্যক্তি নেই, টাকা পয়সা কিছু নেই..প্রভুপাদ বলে দিয়েছে তাই চলে গিয়েছে..কাউকে বলেছে চায়নায় চলে যাও, কাউকে বলেছে লন্ডনে চলে যাও.. 
🌻প্রভুপাদ আমাদের পরমারাধ্য গুরুমহারাজ শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজকে কলকাতা পাঠিয়ে দিলেন.. মাঠের মাঝখানে,মায়াপুরে পাঠিয়ে দিয়েছে..তখন কিচ্ছু ছিলো না..আর আজকে দেখো সেই আধ্যাত্মিক শক্তি কোথা থেকে আসলো..? প্রভুপাদের নির্দেশ পালন করার মাধ্যমে.. 
🌻আর প্রভুপাদের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ যদি আমরা পালন করি, পালন করার চেষ্টা করি তাহলে সেইখান থেকে আমাদের আধ্যাত্মিক শক্তি আসবে..            🌼🌸 "গুরুতে অবজ্ঞা যার তাঁর অপরাধ, সেই অপরাধে তার হয় ভক্তি বাদ" 🌸🌼 যিনি গুরুদেবের আদেশকে অমান্য করবে, তার গুরুদেবের চরনে অপরাধ হবে..আর গুরুদেবের চরনে অপরাধ হলে ভক্তি পথে বাঁধা..🌼🌸 "গুরুতে অচলা শ্রদ্ধা করে যেই জন, শুদ্ধ নাম বলে সেই পায় প্রেম ধন".🌸🌼 

🌻যে ভক্তের গুরুতে অচলা ভক্তি রয়েছে, অত্যন্ত শ্রদ্ধার সহিত যে গুরুদেবের আজ্ঞাকে পালন করছে, সে ধিরে ধিরে শুদ্ধ নাম করতে পারবে, সে কৃষ্ণ প্রেম পাবে..সবকিছু নির্ভর করছে আমরা কতটা ঐকান্তিক ভাবে প্রভুপাদের নির্দেশ পালন করার চেষ্টা করছি তার উপর...  -শ্রীপাদ নাড়ুগোপাল দাস (জপক্লাস,৩০-০১-২০২২)  ****আপনারাও সকলে হরিনামের আরো অধিক মাহাত্ম্য ও জীবনকে সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রনের বিশেষ উপায় প্রভুর শ্রীমুখ থেকে শ্রবন করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পাবেন। হরিবোল..🙏


এই ওয়েবসাইটটিতে আরো জানতে পারবেন
শ্রীল প্রভুপাদ,শ্রীল প্রভুপাদের জীবনী,শ্রীল প্রভুপাদ লীলামৃত,শ্রীল প্রভুপাদের বাংলা প্রবচন,শ্রীল প্রভুপাদ প্রণাম মন্ত্র,প্রভুপাদ কে,শ্রীল প্রভুপাদ পাঠ,শ্রীল প্রভুপাদ এর কথা,প্রভুপাদের জীবনী,শ্রীল প্রভুপাদ সমাধি!!,কে এই শ্রীল প্রভুপাদ?,শ্রীল প্রভুপাদের বাণী,শ্রীল প্রভুপাদ সমাধি মন্দির,প্রভুপাদ জীবনী,প্রভুপাদের বাংলা প্রবচন,শ্রীল প্রভুপাদের বাংলা লেকচার,প্রভুপাদ প্রণাম মন্ত্র,শ্রী প্রভুপাদ,অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ,স্বামী প্রভুপাদ,ভক্তিচারু স্বামী প্রভুপাদ,ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ,ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ জীবনী,প্রভুপাদের জীবনী,প্রভুপাদের বাংলা প্রবচন,প্রভুপাদ জীবনী,প্রভুপাদ প্রণাম মন্ত্র,অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ এর জীবন,প্রভুপাদ স্মরণ,শ্রীল প্রভুপাদের বাংলা প্রবচন,প্রভুপাদ কথামৃত,জয় প্রভুপাদ


Next Post Previous Post
1 Comments
  • নামহীন
    নামহীন ২১ এপ্রিল, ২০২২ এ ১২:০১ AM

    Hare Krishna

Add Comment
comment url
"/>
"/>
"/>
"/>