৫১টি সতী পীঠের প্রধান শক্তিপীঠ হলো এই কামাখ্যা ধাম

৫১ টি শক্তিপীঠ বা  সতীপিঠের এর মধ্যে কামাখ্যা একটি হলেও বাকি ৫০ টির চেয়ে সবচেয়ে ইতিবাচক বলে মনে করা হয় কামাখ্যা সতী পীঠকে।কামাক্ষা দেবীর এই সতীপিঠে কোন সাধক তান্ত্রিক পদ্ধতিতে একবার  জপ ও পূজা করলে তার আর পুনর্বার জন্মলাভ করতে হয় না।অন্যান্য তান্ত্রিক দেবদেবীদের পোস্ট করার আগে মা কামাখ্যা কে নিয়ে পোস্ট করার এটাই কারণ যে....... কামাক্ষ্যা মা কে তন্ত্রের জননী ও কামাখ্যা ধাম কে তন্ত্রের আঁতুড়ঘর বলা হয়। এবং যেখানে অবস্থান করছে একত্রে দশজন মহাবিদ্যা। তান্ত্রিকদের বিশ্বাস অনুযায়ী ৫১টি সতী পীঠের প্রধান শক্তিপীঠ হলো এই কামাক্ষ্যা ধাম। কামাখ্যা তান্ত্রিক ও শাক্ত বিশ্বাস অনুযায়ী মহাশক্তির আধার।

কামাখ্যা মাতার মন্ত্র -

কামাখ্যা মাতা "ওঁ কামাক্ষে বরদে দেবী নীলপর্ব্বতবাসিনী।

 ত্বং দেবী জগতাং মাত যোনিমুদ্রে নমোহস্তুতে।। নমস্ত্রিশূলহন্তায় উমানন্দায় বৈ নমঃ  প্রসীদ পার্বতীনাথ উমানন্দ নমোহস্তুতে।।"

কামাখ্যা সতীপীঠের রহস্যঃ

পুরাণ অনুযায়ী দক্ষ রাজার যজ্ঞের যখন সতী দেহ ত্যাগ করে স্বয়ং শিব সতীর সেই পোড়া ঝলসানো দেহ কাঁধে নিয়ে ত্রিভুবন প্রলয়ের সূচনা করে। এমন অবস্থায় সমস্ত দেবতারা জগৎপতি শ্রী বিষ্ণুর শরণাপন্ন হলে স্বয়ং বিষ্ণু তার সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর দেহ খন্ড বিখন্ড করে দেয়। সতীর দেহ খন্ড গুলি ৫১ ভাগে ভাগ হয়ে যায় (কালিকা পুরাণ অনুযায়ী ১০৮ টি)। সেখানে তৈরি হয় একটি করে পীঠ যেখানে সেই দেহের খন্ড গুলি পড়েছিলো.........শাস্ত্রীয় ভাষায় যাকে সতীপীঠ বলা হয়।

 কামাখ্যাধামঃ  সতীর বিশেষাঙ্গ বা যোনী পতিত হয় আসামের নীলাচল পর্বতে যেখানে দেবী কামাক্ষা যোনী রূপে অধিষ্ঠান করছেন।  তান্ত্রিকদের ভাষা অনুযায়ী গুপ্ত বিদ্যা মহাবিদ্যা তন্ত্রের নিগূঢ় থেকেও নিগূঢ়তম  এবং অলৌকিক  বা অতি অপ্রাকৃতিক সব বিদ্যা এই কামাখ্যা ধামে বসেই সিদ্ধ করা সম্ভব বলে মনে করা হয়।  

কামাখ্যা সতী পিঠ
কামাখ্যা সতী পিঠ ছবি

যাদুটোনার আতুড়ঘর হলো কামাখ্যাঃ

আসাম রাজ্যের গুহাটি কেন্দ্রিক নীলাচল পর্বতের এই প্রাচীন কামাখ্যা মাতার মন্দির কে ঘিরে রয়েছে যাদুটোনা, ব্ল্যাক-ম্যাজিক, মন্ত্র-তন্ত্র ইত্যাদি অনেক গল্প কথা অনেক প্রচলিত মিথ।  তো সেসবে পরে আসছি....😁  তো এই কামাখ্যা মাতা আসলে ষোড়শী... মাতঙ্গী... ও কমলার মিলিত রূপ। তবে কামাখ্যা মাতা আসলে তৃতীয় মহাবিদ্যা ষোড়শী বা ত্রিপুরা সুন্দরীরই এক উগ্র প্রকাশ। এবং মাতা  বীরাচারে (বামাচারের অন্তর্গত) পূজিতা।  তবে দেবী কামাখ্যার তান্ত্রিক পূজা  পন্থা অতি গোপনীয় সেই কারণে অপর কোন তন্ত্রাচারীসাধক ছাড়া সাধারণ ব্যক্তির সামনে দেবীর বিশেষ পুজো অনুষ্ঠান করলে সাধক কে দেবীর অভিশাপের ভাগীদার হতে হয়।  

কামাখ্যা দেবীর পূজা পদ্ধতিঃ

নীলাচল পর্বতে অবস্থিত কামাখ্যার মন্দিরের গর্ভগৃহে কামাখ্যা মাতা একটি যোনী আকৃতির শিলায় নিত্য পূজিত হয় কোন মূর্তিতে নয়।  এবং অন্যান্য মন্দিরের মহাবিদ্যারাও একইভাবে পূজিত হয় যোনী আকৃতি শিলামন্ডলে কেবল ব্যতিক্রম দেবী উগ্ৰতারা।  এর কারণ জগৎগুরু শঙ্করাচার্য এই কামাক্ষা ধামে দেবী তারার কোনো অস্তিত্ব আবিষ্কার করতে পারেননি।  সেই কারণে দেবী তারাকে শিলা রূপে পূজা করা হয় কামাক্ষা ধামে।  আর বাকি ৯জন(কালি-তারা- ষোড়শী -ভৈরবী- ছিন্নমস্তা- ধূমাবতী -বগলামুখী- মাতঙ্গী- কমলা) নীল পর্বতের অবস্থান করলেও পীঠের পাশে থাকা বিষ্ণু পর্বতে একদম চূড়ায় অবস্থান করেন চতুর্থ মহাবিদ্যা দেবী ভুবনেশ্বরী। দেবী এখানে মহামুদ্রা রূপে বা যোনী মুদ্রা রূপে অবস্থিত হওয়ার কারণে মহাশক্তির আঁধার এই কামাখ্যায় অলৌকিক এবং অপ্রাকৃতিক সমস্ত তান্ত্রিক সাধনা অতি ফলপ্রদ।  এই কামাক্ষা ধাম বিশেষ করে  যক্ষিণী সাধনা, কাম ও কামিনী সাধনা গুপ্ত রহস্য বিদ্যা এবং মহাবিদ্যা সহিদ অন্যান্য তান্ত্রিক তান্ত্রিক দেব দেবী সাধনার জন্য একদম উত্তম স্থান। সবথেকে বড় কথা তান্ত্রিক সাধকেরা কামাখ্যা মায়ের দুয়ারে ছুটে যায় মায়ের সাধনায় রত হয় বিশেষ শক্তি অর্জন এবং  কামের ঊর্ধ্বে ওঠার জন্য তথা কাম কে জয় করার জন্য।  তবে এখানে বলে রাখা ভালো দেবী সাধনা এবং রহস্যভিত্তিক পূজা বিধি সৎ ও উচ্চকোটি সাধকের জন্যই।   কামাখ্যা ধামে সাধনা করে সাধক দেবীর কৃপা ও কাম শক্তি কে জয় করতে পারবে। আবার ভুলভাল করলে বিপরীতভাবে কাম মোহতে জড়িয়ে দেবীর অভিশাপের শিকার হবে ও রসাতলে পতিত হবে। মা কামাখ্যার বিবরণ অনুযায়ী দেবী ১৬ বছর বয়সি নতুন যৌবন সম্পন্না।মুখ মন্ডল অতিউজ্জ্বল এবং সদা প্রসন্ন এবং নানা অলংকারে এবং রক্ত বস্ত্রে ভূষিত। ত্রিলোকের মধ্যে সবথেকে সুন্দরী এই কামেশ্বরী দেবী কামদেব ও রতি দেবীর আরাধ্যা।আবার কামাখ্যা পীঠের ধ্যান মূর্তি অনুযায়ী কামাখ্যা দেবী সিংহের উপর শায়িত শব-রূপী শিবের নাভি কমলে হৃদয়ের ওপর ডানপা অবস্থান করছে দেবীর হাতে সুধা পাত্র বা কারণ-পাত্র ও অভয় মুদ্রা  এবং অন্যান্য ১০টি হাতে যথাক্রমে...... চক্র,পদ্ম ত্রিশূল, ধনু,ঢাল, শঙ্খ, গদা, খেটক, খড়গ ও অঙ্কুশ।  দেবীর ছটি মাথা এবং বারোটি হাত স্বয়ং প্রজাপতি ব্রহ্মা এবং শ্রী হরি দেবীর বন্দনায় রত।   এই হল কামাক্ষা দেবীর মোটামুটি বর্ণনা যদিও সাধক ভেদে আলাদা আলাদা ধ্যান প্রচলিত রয়েছে।  যেমন কোন স্থানে দেবী শব শরীরে অধিষ্ঠান করছে গলায় নর মন্ডমালা আবার কোথাও বা মহাকালের সঙ্গে বিপরীত রতিতে আসক্ত ইত্যাদি ইত্যাদি।

কামাখ্যা দেবীর মোট আটজন ভৈরব রয়েছেঃ

 তারা যথাক্রমে..... 

১. প্রথম এবং প্রধান ভৈরব অবস্থান ব্রম্হপুত্র (দ্বীপেউমানন্দ ভৈরব )। 

২. দেবীর মন্দির পূর্ব দিকে (কামেশ্বর ভৈরব) । 

৩. মূল মন্দিরের উত্তর (দিকেকোটিলিঙ্গেশ্বর ভৈরব)। 

৪. আম্রাতকেশ্বর ভৈরব। 

৫. সিদ্ধেশ্বর  ভৈরব (মন্দিরের ঈশান কোণে)। 

৬. ভূতনাথ ভৈরব (শ্মশানে)।

 ৭.(দক্ষিনে ভৈরবী মন্দিরের ভিতর)অঘোর নাথ ভৈরব। 

৮. বিশ্বেশ্বর ভৈরব।এখানে একটা কথা.....বেশকিছু তান্ত্রিক সম্প্রদায় এবং  অঘোরী দের মত অনুযায়ী স্বয়ং  কালী হলেন কামাখ্যা সে কারণে  কামাখ্যার সঙ্গে অবশ্যই মহাকাল ভৈরবের পুজো আবশ্যক। জন্মের পর যেমন একটি সন্তানের যৌনাঙ্গ নির্ধারিত করে যে সে পুরুষ নাকি নারী। যেমন ছেলেদের ক্ষেত্রে লিঙ্গ দেখে প্রমাণিত হয় এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে যোনী দেখে।  তেমনি যোনী হলো নারীশক্তির মহা আধার। আবার একইভাবে দেখো জীবকুল যোনী থেকে বেরিয়েই প্রথম জগতের আলো দেখে। এই কারণে জগৎজননী জগৎ মাতার এই যোনীপীঠ কেই তন্ত্রের ভাষায় সৃষ্টির দ্বার বলা হয়।   তাই  কামাক্ষা দেবীর এই যোনীমণ্ডলে কোন সাধক তান্ত্রিক পদ্ধতিতে একবার  জপ ও পূজা করলে তারার পুনর্বার জন্মলাভ করতে হয় না। এবং মৃত্যুর পর সেই সাধকের অবস্থান হয় ব্রহ্মযোনীতে।  ভগবতী জগৎ মাতা এই যোনী মন্ডলের  পঞ্চকামিনী রূপে নিত্য বিরাজ ও ক্রিয়া করে থাকেন।

এই পঞ্চকমিনী হলেন যথাক্রমে..১. কামাখ্যা                    

                ২. ত্রিপুরা                    

                ৩. কামেশ্বরী                    

                ৪. শারদা                   

                ৫. মহোৎসাহা এরা প্রত্যেকে খড়গহস্ত, মুণ্ডমালিনী, দিব্য অলংকারে ভূষিত, সমগ্র কাম শক্তির আধার এবং ভৈরবের সহিদ ক্রিয়ারত।  *যোনী .....দেবীর যোনী মন্ডলের ত্রিকোণে যথাক্রমে ব্রহ্মা বিষ্ণু এবং সদাশিব বিরাজ করেন।  যোনী চিকুরে (যোনীর পাপড়িতে) ৬৪যোগিনী  এবং যোনীছিদ্রে স্বয়ং মাতা কামাখ্যা বিরাজ করেন। দেবী ৮ জন প্রধান যোগিনী..... বাণী, কমলা, ক্ষেমদা,ধনদা, জয়দা ইত্যাদি। এছাড়াও প্রধান সখী ললিতা। এই কারণে তান্ত্রিক সাধক দের মধ্যে মহাশক্তির সম্ভার যোনী পূজর থেকে শ্রেষ্ঠ পুজো আর হয় না।  এই পূজার ফলে সাধকের দিব্য জ্ঞান লাভ হয় যেকোনো ব্যক্তি বা নারী সাধকের প্রতি সম্মোহিত হয়ে পরে তবে সাধকের চিত্রের পরিবর্তন ঘটে না। এতই মারাত্মক শক্তি এই কামাখ্যা মাতার যোনী মন্ডলে।  দেবী কামাখ্যা মন্ত্র শক্তিতে  কোন ব্যক্তিকে আকর্ষণ, সম্মোহন (hypnotisation) এবং তীব্র বশীকরণ ভীষণ ভীষণ ফলপ্রদ।  দেবীর আরাধনা ফলে সাধক কাম শক্তি কে নিজের বশীভূত করে রাখতে পারে। এবং সাধকের দিব্য যৌবনপ্রাপ্তি ঘটে।  তবে এর থেকে বেশি গভীরে আর যাব না।  যোনী বিদ্যা সম্পর্কে এবং কামাখ্যা মাতা সম্পর্কে আরো অনেক গভীর রহস্য আছে যেগুলো অবশ্যই সৎগুরুর মুখী বিদ্যা এবং উচ্চকোটি সাধকের ক্রিয়া কর্ম।  আষাঢ় মাসের অম্বুবাচী তিথিতে দেবী রজস্বলা থাকেন সেই উপলক্ষে দেশ-বিদেশের উচ্চ নিম্ন সমস্ত ধরনের সাধকেরা বিশেষ করে তান্ত্রিক সাধক, অঘোরী এবং সাধারন ভক্তদের সমাহার হয়...... দেবীর উপলক্ষে পূজা পাঠ হোম যজ্ঞ, পশু বলি ইত্যাদি এবং  অম্বুবাচী তিথি উপলক্ষে বিশেষ মেলা অনুষ্ঠিত হয় কামাক্ষা ধামে। 

লোকমুখে কামাখ্যা পরিচিতিঃ

প্রথমেই বলেছিলাম লোকমুখে প্রচলিত আছে কামাখ্যা মন্দির কথা কামরূপ কামাখ্যা একটি অন্ধকারের দেশ। যাদু-টোনা, মায়া বিদ্যা, তন্ত্র মন্ত্র, ব্ল্যাক ম্যাজিক,ডাইনি বিদ্যা ইত্যাদি চর্চার দেশ।  এগুলো কিন্তু সম্পূর্ণ কমবেশি গল্প কথা কামাখ্যা মন্দিরের এমন কিছুই নেই। যারা কামাখ্যা গেছে তারা অবশ্যই সেটা জানেন।

রহস্যময় কামরূপ কামাখ্যাঃ

তবে আসামের কামরূপ কামাখ্যা মন্দির থেকে প্রায় ৪০ কি.মি দূরে  মরিগাঁও জেলার অন্তর্গত একটি গ্রামের নাম মায়ং।  এই গ্রামে সমস্ত যাদু-টোনা , তন্ত্র মন্ত্র, অলৌকিক বিদ্যা, প্রেত চর্চা, কালা জাদু ইত্যাদির জন্য প্রসিদ্ধ। গ্রামটির দুটি ভাগ  'আচ্ছা-মায়ং' এবং 'বুরা-মায়ং'।  আচ্ছা মায়ং এ বিভিন্ন তান্ত্রিক দেব দেবীর পূজা পাঠ করা হয় এছাড়াও নরসিংহ মন্দির, গণেশ মন্দির, শিব মন্দির, পুরানো তন্ত্রের পুথি-পত্র সংগ্রহশালা, খাসকিলা পাহাড় যেখানে দেবীর জননাঙ্গের মত দেখতে  আকৃতির শীলা দেখা যায় আর বিপরীত হলো বুরা মায়ং....   যত সমস্ত তন্ত্রের অপ বিদ্যা, উগ্র দেবদেবী, পিশাচ, ডাকিনী, ডাইনি বিদ্যা তুকতাক, ষটকর্ম ইত্যাদির সাধনা ও চর্চা করা হয়  এই বুরা মায়ংএ এখানে একটি বিখ্যাত মন্দির এ প্রত্যেকদিন পায়রা বলি দেওয়া এবং ১০০ বছরে একবার নরবলিও দেওয়া হয়।এখন অবশ্য  এই সবের আর কিছুই নেই তবে কোন একটা কালে ছিল।  লোকমুখে প্রচলিত আছে এই মায়ং গ্রামে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি ছিল। এরা জাদু টোনা...কাম কলা (art of sex) মায়া বিদ্যা ইত্যাদিতে পারদর্শী ছিল। আরো প্রচলিত আছে লোকমুখে এই গ্রামে ঢুকলে সেই সব তন্ত্র বিদ্যা জানা নারীরা মন্ত্র বলে পুরুষদের গরু ভেড়া, গাছ,পাথরের মূর্তি বানিয়ে রাখত।  তবে এগুলো কমবেশি গল্প কথা। এই নারী প্রধান জায়গায়(মায়ং) কোন পুরুষ মানুষ যদি একবার ঢুকতো তাকে আদর আপ্যায়ন করে তারা রেখে দিত। মন্ত্রবলে কিছুটা বশীকরণ বা সম্মোহন এই জাতীয় কিছু করে রেখে দিত যাতে তাদের ছেড়ে সেই পুরুষটি সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে না পারে। এবং তাকে বিভিন্ন তান্ত্রিক বিদ্যা ওঝালি, শাবর ইত্যাদি গুপ্ত বিদ্যা শেখানো হতো।  এই কারণে যারা প্রকৃত ওঝালি বিদ্যা, তুকতাক, ষটকর্ম,  বান মারা, বিভিন্নচালান জানে তারা কমবেশি ওই মায়ং গ্রামের সঙ্গে কোন না কোন ভাবে জড়িত ছিলো বা আছে।  কারণ ওইখানেই এগুলো প্রকৃত চর্চা হতো তবে যারা ওখান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, তারাই সঠিক ওঝালি বিদ্যা, গুনিনবিদ্যা, শাবরবিদ্যা এগুলো জেনে এসেছেন।  যাইহোক মাতা কামাখ্যা বা কামাখ্যা পীঠ নিয়ে বলে কখনই শেষ করা যাবেনা।  তবে পরবর্তীকালে চেষ্টা করব পীঠ প্রসঙ্গত ও দেবী কামাক্ষা প্রসঙ্গত আরও কিছু ভালো ভালো তথ্য দেওয়ার।  

এই ওয়েবসাইটটিতে আরো জানতে পারবেন 

কামরূপ কামাখ্যা,সতীপীঠ কামাখ্যা,কামাখ্যা,মা কামাখ্যা,দেবী কামাখ্যা,কামাখ্যা দেবী,মা কামাখ্যা যোনি,কামাখ্যা মন্দির,কামাখ্যা দেবী মন্দির,কামরূপ কামাখ্যার ইতিহাস,কামরূপ কামাখ্যা মন্দির,কামাখ্যা মায়ের মন্দির,কামাখ্যা তন্ত্র মন্ত্র,কামরূপ কামাখ্যা মন্ত্র,কামাখ্যা মন্দিরের রহস্য,রহস্যময় কামাখ্যা মন্দির,রহস্যময় কামরূপ কামাখ্যা,কামরূপ কামাখ্যা আসল রহস্য,রহস্যময় স্থান কামরূপ কামাখ্যা


Next Post Previous Post
1 Comments
  • নামহীন
    নামহীন ২৬ এপ্রিল, ২০২২ এ ১০:৪৭ PM

    সঠিক তথ্য পেলাম।। জয় মা কামাক্ষা🙏🙏

Add Comment
comment url
"/>
"/>
"/>
"/>