গোবর্ধন পর্বতের পূজা

গোবর্ধন পর্বত

ইন্দ্র স্বর্গের রাজা হওয়ার ফলে অত্যন্ত গর্বান্বিত হয়ে পড়েছিলেন এবং তাই তিনি তাঁকে শাসন করতে চেয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ , লীলার তাৎপর্য গুলি খুব সুন্দর ভাবে লীলা পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন শ্রীল প্রভুপাদ ( এছাড়াও শ্রীমদ্ভাগবত দশম স্কন্দ বর্ণনা করা হয়েছে ) ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ইন্দ্রযজ্ঞ বন্ধ করেদিয়েছিলেন । ইন্দ্র এর জন্য ক্রোধ প্রকাশ করেছিলেন কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চরমশিক্ষা দিয়েছিলেন ইন্দ্র কে,ইন্দ্র ভুলে গেছিলো ভগবান কে ।।কৃষ্ণ বললেন, “হে পিতঃ, দেরি করার আর প্রয়োজন নেই। 

গোবর্ধন পর্বতের পূজা
গোবর্ধন পর্বতের পূজা

গোবর্ধন পর্বত এবং স্থানীয় ব্রাহ্মণদের উদ্দেশ্যে যজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে অনেক সময় লাগবে। তাই ইন্দ্রযজ্ঞের জন্য যে আয়োজন করা হয়েছে তা দিয়ে এখনই গোবর্ধন পর্বত এবং স্থানীয় ব্রাহ্মণদের সন্তুষ্টিবিধানের জন্য যজ্ঞ করলে ভাল হবে।মহারাজ নন্দ অবশেষে রাজী হলেন। গোপেরা তখন কৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করলেন কিভাবে তিনি যজ্ঞ অনুষ্ঠান করতে চান, এবং কৃষ্ণ তাঁদের বললেন, “যজ্ঞের জন্য সংগৃহীত সমস্ত শস্য এবং ঘি দিয়ে খুব ভাল ভাল নানা রকমের খাবার তৈরি করা হোক। পুষ্পান্ন, ডাল, হালুয়া, পকোরা, পুরী, মিষ্টান্ন, রসগোল্লা,সন্দেশ, লাড্ডু ইত্যাদি তৈরি করা হোক, এবং সমস্ত বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণদের নিমন্ত্রণ করা হোক যাঁধা বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণে এবং অগ্নিতে আহুতি প্রদানে সুদক্ষ। 

সেই সমস্ত ব্রাহ্মণদের নানা রকম শস্য দান করা হোক। গাভীদের খুব সুন্দর ভূষিত করা হোক এবং তাদের খুব ভাল করে খাওয়ানো হোক। তারপর ব্রাহ্মণদের অর্থদান করা হোক। সমাজের নিম্নস্তরের চণ্ডাল আদি মানুষদের, যাদের সাধারণ লোক অস্পৃশ্য বলে মনে করে, তাদেরও প্রচুর পরিমাণে প্রসাদ দেওয়া হোক। গাভীদের তৃণ প্রদান করে গোবর্ধন পর্বতের পূজাউপহার প্রদান করা হোক। এই পূজা হলে আমি অত্যন্ত তৃপ্ত হব।”(সংগৃহীত গ্রন্থ লীলা পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণ🌹🙏)#জয়_শ্রীল_প্রভুপাদ❤️❤️🌹🙏,,,,,

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
"/>
"/>
"/>
"/>