কৈলাস পর্বতের রহস্য যা সাধারণ মানুষের আজও অজানা।

ভারতের কৈলাস পর্বতের রহস্যময় কাহিনী ও ঘটনা আজ অবধি যার কোন উত্তর মেলেনি ।মহাদেবের আবাস ভূমি হলো কৈলাস । আর সেই কৈলাস সংলগ্ন মানস সরোবর। এই দুই স্থান কৈলাস ও মানস সরোবর শুধু মাত্র হিন্দুদের কাছেই তীর্থস্থান নয় বরং বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছেও সমানভাবেই গুরুত্বপূর্ণ।

কৈলাস পর্বতমালা/https://thehindu9.blogspot.com

কৈলাস পর্বত খুবই পবিত্র

তিব্বতের সুপ্রাচীন ‘বন’ হিসেবে। আর এই মহাদেবের আবাস্থল হিসেবে কৈলাসকে ঘিরে রয়েছে নানা ‘মিথ’।জেনে নেওয়া যাক এমনই কয়েকটি রহস্যের কথা।জৈন ধর্মে ‘অষ্টপদ’ বা আট পদের সমাহার হলো কৈলাস।  যেখানে তাঁদের সর্ব প্রথম তীর্থঙ্কর, রিশপ মোক্ষ লাভ করেন। তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মীয়রা মনে করেন যে, তাঁদের তান্ত্রিক দেব-দেবী দেমচং ও দোরজে ফাগমো থাকেন এই কৈলাস পর্বতে।ফলে এই কারনে, এই পর্বতে সকলেরই পা রাখা নিষিদ্ধ। তবে আমাদের এই ছোট জীবনে কৈলাস পর্বতকে একবার প্রদক্ষীণ করতে পারলে জীবনের সব পাপ ধুয়ে যায় বলে সকলে বিশ্বাস করেন।এমননই বিশ্বাস তিন ধর্মের। এই প্রদক্ষীণের রীতিকে হিন্দু ধর্মে তথা সনাতনে বলা হয় পরিক্রমা।আর এই পরিক্রমনকে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মে বলা হয় ‘খোরা’।ধর্মকথা অনুসারীরা মনে করেন, বারো বার কৈলাসধাম পরিক্রমা করতে পারলে ভূত-ভবিষ্যৎ, সব জীবনের পাপস্খালন হয়ে থাকে।

ধর্মমতে তথা পৌরানিক মতে, 
কৈলাস পর্বতের চারটি মুখ 

যথা- ক্রিস্টাল, সোনা, চুনী এবং নীলা দ্বারা গঠিত।এছাড়াও কৈলাস থেকে সৃষ্ট ৪টি নদী যথা- সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র, শতদ্রু এবং  ঘাগরা।এই স্থান হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও বন ধর্মাবলম্বীরা খুবই পবিত্রমনে করেন । বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ ফ্রেশওয়াটার হ্রদ,ঘাগড়া নদী ও মানস সরোবর রয়েছে কৈলাসেই। আর তার পাশেই বিদ্যমান সর্বোচ্চ সল্ট-ওয়াটার লেক ও রাক্ষস তাল। মানস সরোবরটি দেখতে গোলাকার আকৃতির অপরদিকে রাক্ষস তালের আকৃতি অর্ধচন্দ্রাকার। আর এ দুটি আকৃতি নাকি সূর্য ও চন্দ্রের শক্তিকে প্রকাশ করে।বলা হয়, যারা কৈলাসের খুব কাছাকাছি বসবাস করে তাদের মাথার চুল ও নখ খুব পৃথিবীর অন্যান্য স্থানের তুলুনায় তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়।আজঅবধি তথ্য পর্ষালোচনা করলে দেখা যায়,মাত্র একজন তিব্বতী বৌদ্ধ যোগী নাম  তার মিলারেপা যিনি কৈলাসে উঠেছিলেন।

কৈলাস পর্বতমালা/https://thehindu9.blogspot.com

রাশিয়ার কিছু বিশেষজ্ঞ একসময় কৈলাসকে একটি বিশালাকৃতি পিরামিড বলে বর্ণনা করেছিলেন এবং তাঁরা এই পর্বতকে মানুষের তৈরি বলেও জানান তবে পরবর্তীতে বর্ননাটি অযৈক্তিক হিসেবে গণ্য হয়।।তাঁদের মতে, কৈলাসের এই স্থানে অপ্রকৃত শক্তির অবস্থান। অনেকের মতে আবার এই স্থান যাবতীয় অতিপ্রাকৃতের কেন্দ্রবিন্দু ও বটে।


                            MS

উক্ত প্রতিবেদনটি জনস্বার্থে প্রকাশ করা হলো


Next Post Previous Post
1 Comments
  • সনাতনী আলাপন
    সনাতনী আলাপন ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ এ ৭:২৯ PM

    hare krisna

Add Comment
comment url
"/>
"/>
"/>
"/>