রাধা কৃষ্ণের সম্পর্ক ও রাধা কৃষ্ণের দিব্য সম্পর্ক কি

রাধা কৃষ্ণের দিব্য সম্পর্ক কি?  

আগে জানতে হবে রাধা রাণী কে তারপর আমরা জানতে পারবো  রাধা কৃষ্ণের দিব্য সম্পর্ক এবং রাধার আবার রাধা নামের কারন কি?
রাধারাণী রাস মন্ডলে আবির্ভূত হয়েছিলেন বলে রা এবং পরমেশ্বর ভগবানকে আরাধনার জন্য পুষ্প সহ ধাবিত হয়েছিলেন বলে ধা এভাবেই তিনি হলেন রাধা। পরমেশ্বর ভগবানের লীলা রহস্য।  একটি বিষয় মনে রাখতে হবে,শ্রী ভগবান যখন  শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমনের জন্য ধরাধামে অবতার হয়ে আসেন তখন কিন্তু তিনি  একা আসেন না।আসেন তাঁর তাঁর অন্তরঙ্গা শক্তি সহ এবং পারিষদ সহ।যেমন,ত্রেতা যুগে রাম এবং সীতা,কলিযুগে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু এবং মা বিষ্ণুপ্রিয়া।একই ভাবে দ্বাপর যুগের শেষে আসলেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধা রাণী।ভগবান ধরাধামে এলে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ীই  লীলা করেন।

দেবকীর গর্ভে আসলেন কৃষ্ণ এবং রাজা  বৃষভানুর ঘরে  আসলেন রাধারাণী।  এবার একটু বেদের দিকে তাকাই।বেদে লক্ষ্মী নারায়ণের কথা বলা আছে।স্বা । নারায়ণ নিজে নিজেই সৃষ্টি হয়েছেন এবং তাঁকে কেউই সৃষ্টি করেননি।আবার শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন,আমিই সমগ্র বেদের কৃষ্ণ।অর্থাৎ, আমাদের এই  শ্রীকৃষ্ণই হলেন সমগ্র বেদের  নারায়ণ।অর্থাৎ সবই এক।তাই স্বামী নারায়ণের সাথে  সার্বক্ষণিক সেবারত অবস্থায় যে লক্ষ্মী মাতাকে দেখি প্রকৃত অর্থে তিনিই রাধারাণী।  রাধারাণী ধ্যান কল্পে বারবার শুধু শ্রীকৃষ্ণকেই মালা  পরিয়েছিলেন।সুতরাং, রাধারাণী কৃষ্ণের হ্লান্দিনী শক্তি শক্তির প্রভাবে তিনি সৃষ্টি করেন।মহাভাব স্বরুপা শ্রী রাধা  যে  ঠাকুরাণী সর্বগুণ খনি কৃষ্ণ কান্তা শিরোমনি।আবার এক অর্থে রাধা কৃষ্ণের কোন ভেদ নেই।তাঁরা অভেদ, তাঁরা  একাত্মা।আর তাইতো, রাধা।
রাধা কৃষ্ণের সম্পর্ক
রাধারানী কেঃ দেবী রাধিকার অন্যান্য নাম হল রাধা, বার্ষভানবী, সর্বেশ্বরী, মহালক্ষ্মী, বৈকুন্ঠেশ্বরী, মানিনী, মালিনী, বৃন্দাবনেশ্বরী, মথুরেশ্বরী, কৃষ্ণময়ী, মাধবী, কেশবি, রাহী, শ্যামা, কৃষ্ণা, রাই, কিশোরী, শ্রী, কৃষ্ণাত্মিকা, ব্রজেশ্বরী, বিনোদিনী, বনলক্ষী, গোবিন্দমোহিনী আরও অনেক।  রাধিকা বা রাধারাণী হলেন হিন্দু ভারতীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায় দের আরাধ্য দেবী, মহালক্ষী। 
বৈষ্ণব ভক্তেরা তাঁকে বলেন শ্রীমতী। হিন্দুধর্মের বহু গ্রন্থে বিশেষত শাক্ত সম্প্রদায়, রা উত্তর ভারতীয় বৈষ্ণব তত্ত্ববিদ্যা অনুসারে, রাধা হলেন পরম সত্ত্বা শ্রীকৃষ্ণের শাশ্বত সঙ্গী বা তাঁর দিব্যলীলার শক্তি ('নাদশক্তি')। রাধা ও কৃষ্ণের যুগলমূর্তিকে 'রাধাকৃষ্ণ রূপে আরাধনা করা হয়। যদিও ভগবানের এই রূপের অনেক প্রাচীন, কিন্তু দ্বাদশ শতাব্দীতে যখন জয়দেব গোস্বামী সুবিখ্যাত কাব্য গীতগোবিন্দ রচনা করেন, তখন থেকেই দিব্য কৃষ্ণ ও তাঁর পরমাপ্রকৃতি রাধার মধ্যেকার দিব্য ও নিত্য প্রেম সমগ্র ভারতবর্ষে আরও বেশি মূর্ত হয়ে ওঠে।

  রাধা-বল্লভ সম্প্রদায় একটি রাধা কেন্দ্রিক । তাদের ঐতিহ্যে শুধুমাত্র রাধাকেই পরম দেবী হিসেবে পূজা করা হয়।অন্যত্র রাধা বিশেষ করে কৃষ্ণায়িত নিম্বার্ক সম্প্রদায়, পুষ্টিমার্গ ঐতিহ্য, স্বামীনারায়ণ সম্প্র‌দায়, বৈষ্ণব-সহজিয়া এবং গৌড়ীয় বৈষ্ণব আন্দোলনের সাথে সম্পর্কিত।এই মতে রাধাকে স্বয়ং কৃষ্ণের নারী রূপ হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে।  ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুযায়ী, তিনি হলেন গোকুলনিবাসী বৃষভানু ও কলাবতীর কন্যা। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ ও দেবীভাগবতের মতে, রাধার সৃষ্টি ভগবান কৃষ্ণের শরীরের বামভাগ থেকে হয় এবং সেই রাধাই দ্বাপর যুগে বৃষভানুর পুত্রী রুপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ অনুসারে শ্রী কৃষ্ণ এবং রাধার ব্রহ্ম বিবাহ বা গুপ্ত বিবাহ হয়েছিল। পরে শ্রীরাধার বৃন্দাবনের আয়ান ঘোষ-এর সঙ্গে বিবাহ হয়েছিল।  শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধার প্রেম বিষয়ক বহু গাঁথা কবিতা বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যের অন্যতম উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে যা বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য ঐশ্বর্য। শ্রীকৃষ্ণকীর্তনেও রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা সুবিস্তৃতভাবে বর্ণিত হয়েছে। বাংলার ভক্তি আন্দোলনেও এর সুদুরপ্রসারী প্রভাব পড়েছিল।তবে সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কৃষ্ণচরিত্র বইয়ে রাধার অস্তিত্বকে অস্বীকার করেছেন। কিন্তু তাঁর বাড়িতে রাধাকৃষ্ণের নিত্য পূজা হতো । 

শ্রীকৃষ্ণ কে? 
কৃষ্ণ বা শ্রীকৃষ্ণ (সংস্কৃত: श्रीकृष्ण) হলেন হিন্দু ধর্মানুসারীদের আরাধ্য ভগবান। তিনি ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার রূপে খ্যাত। কখনো কখনো তাকে সর্বোচ্চ ঈশ্বর (পরম সত্ত্বা) উপাধিতে ভূষিত করা হয় এবং হিন্দুদের অন্যতম ধর্মগ্রন্থ ভগবদ্গীতার প্রবর্তক হিসাবে মান্য করা হয়। হিন্দু বর্ষপঞ্জী অনুসারে প্রতিবছর ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী (জন্মাষ্টমী) তিথিতে তার জন্মোৎসব পালন করা হয়।
আগে জানতে হবে রাধা রাণী কে তারপর আমরা জানতে পারবো  রাধা কৃষ্ণের দিব্য সম্পর্ক এবং রাধার আবার রাধা নামের কারন কি?
রাধারাণী রাস মন্ডলে আবির্ভূত হয়েছিলেন বলে রা এবং পরমেশ্বর ভগবানকে আরাধনার জন্য পুষ্প সহ ধাবিত হয়েছিলেন বলে ধা এভাবেই তিনি হলেন রাধা। পরমেশ্বর ভগবানের লীলা রহস্য।  একটি বিষয় মনে রাখতে হবে,শ্রী ভগবান যখন  শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমনের জন্য ধরাধামে অবতার হয়ে আসেন তখন কিন্তু তিনি  একা আসেন না।আসেন তাঁর তাঁর অন্তরঙ্গা শক্তি সহ এবং পারিষদ সহ।যেমন,ত্রেতা যুগে রাম এবং সীতা,কলিযুগে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু এবং মা বিষ্ণুপ্রিয়া।একই ভাবে দ্বাপর যুগের শেষে আসলেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধা রাণী।
ভগবান ধরাধামে এলে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ীই  লীলা করেন।দেবকীর গর্ভে আসলেন কৃষ্ণ এবং রাজা  বৃষভানুর ঘরে  আসলেন রাধারাণী।  এবার একটু বেদের দিকে তাকাই।বেদে লক্ষ্মী নারায়ণের কথা বলা আছে।স্বা । নারায়ণ নিজে নিজেই সৃষ্টি হয়েছেন এবং তাঁকে কেউই সৃষ্টি করেননি।আবার শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন,আমিই সমগ্র বেদের কৃষ্ণ।অর্থাৎ, আমাদের এই  শ্রীকৃষ্ণই হলেন সমগ্র বেদের  নারায়ণ।অর্থাৎ সবই এক।তাই স্বামী নারায়ণের সাথে  সার্বক্ষণিক সেবারত অবস্থায় যে লক্ষ্মী মাতাকে দেখি প্রকৃত অর্থে তিনিই রাধারাণী।  রাধারাণী ধ্যান কল্পে বারবার শুধু শ্রীকৃষ্ণকেই মালা  পরিয়েছিলেন।সুতরাং, রাধারাণী কৃষ্ণের হ্লান্দিনী শক্তি শক্তির প্রভাবে তিনি সৃষ্টি করেন।মহাভাব স্বরুপা শ্রী রাধা  যে  ঠাকুরাণী সর্বগুণ খনি কৃষ্ণ কান্তা শিরোমনি।আবার এক অর্থে রাধা কৃষ্ণের কোন ভেদ নেই।তাঁরা অভেদ, তাঁরা  একাত্মা।আর তাইতো, রাধা।

রাধা কৃষ্ণের মধ্যে কি কোন দৈহিক সম্পর্ক ছিল? 
না তাদের সম্পর্ক পৃথিবীতে শারীরিক ধরণের ছিল না। কিন্তু গোলোক গ্রহে তারা স্বামী-স্ত্রী হয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন ভালোবাসার প্রকৃত অর্থ শেখাতে। আর প্রেমে কখনোই শারীরিক বা সামাজিক সম্পর্ক ছিল না।কোন জাগতিক আকাঙ্ক্ষা ছাড়াই শুদ্ধতম ছিলো তাদের ভালোবাসা, তাদের সম্পূর্ণ আধ্যাত্মিক এবং ঐশ্বরিক ভালবাসা এককথা আত্মা এক কিন্তু শরীর দুই। 
রাধা কি মিথ? আর আপনি কেন এমন মনে করেন? কারণ শ্রীমদ ভাগবতম, মহাভারত এবং ভগবদ গীতায় তার উল্লেখ নেই? যে কারণে এই ধর্মগ্রন্থে তার উল্লেখ নেই- শ্রীমদ ভাগবতম একটি অত্যন্ত বিতর্কিত ধর্মগ্রন্থ, কিছু লোক এটির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত নন এবং এতে রাধারাণীর উল্লেখের অনুপস্থিতি সত্যটিকে শক্তিশালী করে, তাই এটি বিষয়টিকে ছাড়িয়ে যায়। মহাভারত একটি পাঠ্য যা শ্রী কৃষ্ণের পরবর্তী জীবনের উপর আলোকপাত করে, তিনি বৃন্দাবন ত্যাগ করার পর, রাধার উপর ফোকাস করবেন না। ভগবদ গীতায় এমনকি দেবকী-বাসুদেব এবং শ্রী কৃষ্ণ সম্পর্কিত আরও কিছু লোকের উল্লেখ নেই, তাহলে আপনি কি বলবেন তারাও অস্তিত্বহীন? এখন শাস্ত্রে কথা বলা যাক তিনি উপস্থিত ক) দেবী ভাগবত পুরাণ "তিনি কৃষ্ণের প্রাণশক্তি, তিনি দেহের বাম অংশ থেকে আবির্ভূত হন। তিনি নারীরূপে কৃষ্ণ, আর কৃষ্ণ নারীরূপে রাধা।" নবম ক্যান্টো, অধ্যায় 4 খ) ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ দেবী ভাগবতমের মতো একই সত্যকে নিশ্চিত করে। গ) পদ্ম পুরাণ, শিব পুরাণ, মহাভাগবত পুরাণ, সবকটিতেই রাধার কাহিনী রয়েছে। সুতরাং, এটা বলা যেতে পারে যে রাধারাণীর বাস্তবতা সম্পর্কে অল্প জ্ঞানসম্পন্ন লোকেরাই সন্দেহ করতে পারে। যদি একটি বা দুটি শাস্ত্রে তিনি অনুপস্থিত থাকেন, তবে আরও হাজার হাজার ধর্মগ্রন্থের কী হবে যা তার প্রশংসা করে এবং কথা বলে? রাধাকে কাল্পনিক বলা কৃষ্ণকে কাল্পনিক বলার সমান, কারণ তারা অদ্বৈত। যারা আমার রাধারাণীকে কাল্পনিক বলে, তারা আমার শ্যামসুন্দরের ক্রোধ সহ্য করতে প্রস্তুত হও, কারণ তুমি কৃষ্ণের প্রিয়তমকে অপমান করছ।

ভগবান কৃষ্ণ এবং রাধার জীবনের কিছু মজার এবং অকথিত তথ্য নিচে দেওয়া হল: 

১. ভগবান কৃষ্ণ এবং রাধার পৃথিবীতে তাদের অবতারের পরে কীভাবে মিলিত হয়েছিল? এটা বিশ্বাস করা হয় যে কৃষ্ণ যখন মাত্র চার বা পাঁচ বছর বয়সে, তিনি তার বাবার সাথে মাঠে গিয়েছিলেন যেখানে গবাদি পশুরা খাবার দিচ্ছিল। বসন্তের সাথে পিতাকে অবাক করার জন্য, ভগবান কৃষ্ণ একটি বজ্রপাত সৃষ্টি করেছিলেন এবং ভান করেছিলেন যে তিনি কিছুই জানেন না। প্রবল বৃষ্টি শুরু হল এবং কৃষ্ণ কাঁদতে লাগলেন এবং রক্ষার জন্য বাবাকে জড়িয়ে ধরলেন।

*তার বাবা দুশ্চিন্তায় ছিলেন কারণ তাকে তার সন্তানের পাশাপাশি গবাদি পশুর যত্ন নিতে হয়েছিল। তারপর, তার বাবা একজন সুন্দরী মহিলাকে তাদের পাশে আসতে দেখে স্বস্তি বোধ করলেন এবং সেই মহিলাকে তার সন্তানের যত্ন নিতে বললেন। মহিলা কৃষ্ণের যত্ন নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পরে, নন্দ গবাদি পশু নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান।সেই মহিলা এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যখন একা ছিলেন, তখন কৃষ্ণ আশ্চর্যজনক কিছু করেছিলেন। কমলা রঙের জামা, মাথায় ময়ূরের পালক, কালো চামড়ার এবং হাতে বাঁশি ধরা যুবকের রূপে তিনি আবির্ভূত হন। তিনি সেই মহিলাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি কি একই ঘটনা মনে রেখেছেন যখন তারা পৃথিবীতে তাদের অবতারণের আগে স্বর্গে ছিল। তিনি হ্যাঁ উত্তর দিলেন এবং তিনি আসলে রাধা, তাঁর প্রিয়তমা। পৃথিবীতে অবতারের পর এই প্রথম তারা একে অপরের সাথে দেখা করলেন।

২. ভগবান কৃষ্ণ এবং রাধা কোথায় মিলিত হতেন? এটা বিশ্বাস করা হয় যে বৃন্দাবনে ভগবান কৃষ্ণ এবং রাধা একে অপরের সাথে গোপনে দেখা করতেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রতিদিন হ্রদের ধারে সুরেলা বাঁশি বাজাতেন যা রাধাকে ভগবান কৃষ্ণের সাথে দেখা করার জন্য মোহিত করত।

 ৩.ভগবান কৃষ্ণ এবং রাধারানী কখনই আলাদা নয় একথায় আলাদা হতে পারে না।নানাবিধ গ্রহনযোগ্য তথ্য অনুসারে, রাধা কখনই ভগবান কৃষ্ণ থেকে আলাদা নয়। ভগবান কৃষ্ণ এবং রাধার মধ্যে প্রেমের বন্ধন শারীরিক ছিল না, বরং এটি কেবলমাত্র  ছিল শুদ্ধ ভক্তি ও আধ্যাত্মিক। সুতরাং, বলা হয় যে ভগবান কৃষ্ণ এবং রাধা ঐশ্বরিক নীতির দুটি ভিন্ন প্রকাশ।

৪. কেন ভগবান কৃষ্ণ এবং রাধা একে অপরকে বিয়ে করেননি? প্রেম এবং বিবাহ উভয়ই একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা তা প্রমাণ করার জন্য, ভগবান কৃষ্ণ এবং রাধা একে অপরকে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রেম যে শারীরিক হওয়ার চেয়ে বেশি বিশুদ্ধ এবং নিঃস্বার্থ আবেগ তা প্রমাণ করার জন্য, দুজনেই একে অপরকে বিয়ে না করে ভালবাসার সর্বোচ্চ ভক্তি প্রকাশ করেছিলেন। কিছু বিশ্বাস অনুসারে, রাধা নিজেকে তার জন্য উপযুক্ত বলে মনে করেননি কারণ তিনি একজন কাউগার্ল ছিলেন, তাই তিনি ভগবান কৃষ্ণকে বিয়ে না করার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। এছাড়াও, আরও একটি বিশ্বাস রয়েছে যা অনুসারে ভগবান কৃষ্ণ একে অপরকে একক আত্মা হিসাবে বিবেচনা করতেন, তাই তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন যে তিনি কীভাবে নিজের আত্মাকে বিয়ে করতে পারেন।
Next Post Previous Post
1 Comments
  • piya sen
    piya sen ২৯ মার্চ, ২০২২ এ ৯:৩৬ AM

    ভালো লাগছে

Add Comment
comment url
"/>
"/>
"/>
"/>