বৈষ্ণব ধর্মমতের উদ্ভব ও বিকাশ

বৈষ্ণব ধর্মঃ

শৈবধর্মেকই বৈষ্ণবধর্ম বলা হয়ে থাকে ,শাক্তবাদ এবং স্মার্টবাদের সাথে অন্যতম প্রধান হিন্দু সম্প্রদায়। জনসন এবং গ্রিমের ২০১০ সালের অনুমান অনুসারে, বৈষ্ণবরা হল বৃহত্তম হিন্দু সম্প্রদায়, প্রায় ৬৪১ মিলিয়ন বা ৬৭.৬% হিন্দু।আমরা আজকে জানবো বৈষ্ণব কাকে বলে???শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এই সমন্ধে ল তার চৈতন্য লীলায় জানিয়েছেন। কুলিন গ্রামে হরিনাম প্রচার করছিলেন যখন চৈতন্য মহাপ্রভু ও তার পার্শ্বদ বৃন্দ ,তখন সেই গ্রামের একজন সাধারণ ব্যক্তি চৈতন্য মহাপ্রভুকে প্রশ্ন করলেন প্রভু, বৈষ্ণব কে ও কাকে বলে..?? কেমনে বৈষ্ণবকে চিনব। 
★তখন চৈতন্য মহাপ্রভু সেই ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তরে বললেন যার মূখে একবার হরিনাম কৃষ্ণনাম শুনবে তাকেই বৈষ্ণব বলে জানবে। হরিবল।
বৈষ্ণব ধর্মমতের উদ্ভব ও বিকাশ

 শ্রীল ভক্তিচারু স্বামী মহারাজ নামের তিনটি স্তর আছে এবিষয়টি আরো বিষদ্ভাবে ব্যক্ষা করে বলছেন । "নাম অপরাধস্তর "নাম আভাসস্তর "এবং শুদ্ধনামস্তর বলা হচ্ছে নামঅক্ষর বাহিরায় নাম কভুনয়। অর্থ সুধুই নামের অক্ষরটাই বেরুচ্ছে কিন্তু নাম হচ্ছেই না তারজন্য  এই প্রসঙ্গে জানানো হচ্ছে আরো কিছু। কোটি জন্মে করে যদি নামসংকীর্তন তবুতনাপায় কৃষ্ণপদপ্রেমধন এতএব এখানে যে নাম সমন্ধে বলা হচ্ছে তা,, নাম অপরাধ মূক্ত হয়ে,, নাম আভাসস্তর অতিক্রম করে বিশুদ্ধ নামহট্টের কথা বলা হয়েছে শ্রীল ভক্তিচারুস্বামী মহারাজ তিনি আরো বলছেন বৈষ্ণবের তিনটি স্তর সমন্ধে,, তথা""

বৈষ্ণব ধর্মমতের উদ্ভব ও বিকাশ
বৈষ্ণব ধর্ম ছবি


(১)==তিনি হচ্ছেন বৈষ্ণব যার মূখে একবার শুদ্ধভাবে শুদ্ধনাম হরিনাম শোনা যায়।

(২)==তিনি হচ্ছেন মধ্যম বৈষ্ণব যার মূখে শুদ্ধভাবে নিরন্তর হরিনাম কৃষ্ণনাম শোনা যায়"

(৩)==এবং তিনি হচ্ছেন উত্তম বৈষ্ণব  যাকে দেখলে বা দর্শনেই মূখে নাম আসে এই হচ্ছে বৈষ্ণবের তিনটি স্তর তাই শুদ্ধ হরিনাম কৃষ্ণনাম করতে হবে  আমাদের সকলকে নাম অপরাধস্তর মুক্ত হয়ে ও নাম আভাসস্তর অতিক্রম করে এবং তার আগে অমাণিকে মান দিতে জানতে বা শিখতে হবে,, তাহলেই আমরা এই স্তরে সহজেই পৌছাতে পারব।  বৈষ্ণব সম্প্রদায় সম্পাদনা    তাঞ্জোরে ধর্মালোচনা সভায় বৈষ্ণব ব্রাহ্মণ ছাত্রেরা। সূত্র: দ্য ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন, নভেম্বর ১৯০৯।

চারটি প্রধান উপশাখায় বিভক্ত বৈষ্ণবধর্মাবলম্বীগণ । সম্প্রদায় বলা হয় এই উপশাখাগুলিকে । প্রত্যেক সম্প্রদায়ের আদর্শ কোনো নির্দিষ্ট বৈদিক চরিত্র। জীবাত্মা ও পরমাত্মা (বিষ্ণু বা কৃষ্ণ) সম্পর্কে এই চার সম্পর্কের মতের সূক্ষ্ম পার্থক্য বিদ্যমান।অপরদিকে যদিও অধিকাংশ বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মূল মতবাদ একই প্রকারের হয়ে থাকে ।

লক্ষ্মী-সম্প্রদায় দর্শন: রামানুজাচার্য কর্তৃক প্রচারিত বিশিষ্টাদ্বৈত মতবাদ।

শ্রী বৈষ্ণবধর্ম ব্রহ্মা সম্প্রদায় দর্শন: মাধবাচার্য কর্তৃক প্রচারিত চৈতন্য মহাপ্রভু ও দ্বৈত  কর্তৃক প্রচারিত মতবাদ হলো অচিন্ত্য ভেদ অভেদ।

গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম রুদ্র সম্প্রদায় দর্শন হলো: শুদ্ধাদ্বৈত মতবাদ বিষ্ণুস্বামী ও বল্লভ আচার্য কর্তৃক প্রচারিত। 

নিম্বার্ক সম্প্রদায় দর্শন হলো:দ্বৈতাদ্বৈত মতবাদ নিম্বার্ক কর্তৃক প্রচারিত অন্যান্য উপশাখা ও উপসম্প্রদায় সম্পাদনা রামানন্দ প্রচারিত রামানন্দি সম্প্রদায় শ্রীমন্ত শঙ্করদেব প্রচারিত মহাপুরুষীয় ধর্ম জগন্মোহন গোসাঁই কর্তৃক প্রচারিত,জগন্মোহনী বাউল মতবাদ তান্ত্রিক সম্প্রদায় বৈষ্ণব সহজিয়া তিলক সম্পাদনা বৈষ্ণবদের মধ্যে কপালে তিলক অঙ্কণ করার রীতি রয়েছে। কেউ কেউ দৈনিক উপাসনার অঙ্গ হিসেবে তিলক আঁকেন, কেউ কেউ তিলক কাটেন বিশেষ অনুষ্ঠান বা উৎসব উপলক্ষে। বিভিন্ন বৈষ্ণব সম্প্রদায়গুলির নিজস্ব তিলক অঙ্কণশৈলী রয়েছে। এগুলি সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের সিদ্ধান্তের প্রতীক। সাধারণত তিলকের আকার ইংরেজি Y অক্ষরটির মতো।নাকের উপর অপর একটি রেখা বিশিষ্টই তিলক বিষ্ণুর পদ ও দুই বা ততোধিক লম্বরেখা এবং পদ্মের প্রতীক।

মাধব সম্প্রদায়ের তিলক শ্রী বৈষ্ণবধর্মের তিলক গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের তিলক জগন্মোহনী বাউল মতবাদের তিলক ইতিহাস সম্পাদন মূল নিবন্ধ: ঐতিহাসিক বিষ্ণুধর্ম অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ পাশ্চাত্যে বৈষ্ণবধর্ম প্রচারে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেন বিষ্ণুর পূজা প্রচলিত ভারতে মহাকাব্য বা "ইতিহাস"-এর যুগ থেকেই ।হপকিনসের মতে, ভারতে প্রচলিত একমাত্র স্থানীয় ধর্মসম্প্রদায়ের এককথায় বিষ্ণুধর্ম ছিল ।Vishnuism, in a word, is the only cultivated native sectarian native religion of India.ভগবদ্গীতা নামে পরিচিত মহাভারতের একটি অংশে বৈষ্ণবধর্মের ধারণাটি পাওয়া যায়। উক্ত অংশটি কৃষ্ণ ও অর্জুনের মধ্যে কথোপকথনের আকারে বিধৃত রয়েছে। কৃষ্ণ বিষ্ণু অন্যতম অবতার এবং উক্ত অংশে অর্জুনের রথের সারথি।  দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত ও তার পরবর্তীকালের বহু রাজাই পরমভাগবত বা ভাগবত বৈষ্ণব নামে পরিচিত ছিলেন।শৈবধর্ম প্রভাবিত দক্ষিণ ভারতে খ্রিষ্টীয় সপ্তম থেকে দশম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়কালে বৈষ্ণবধর্মের প্রসার ঘটে।আজও প্রচলিত এই অঞ্চলে বৈষ্ণবধর্ম ।ভযার মূখে শুদ্ধভাবে নিরন্তর হরিনাম কৃষ্ণনাম শোনা যায়""
    
লক্ষ্মী-সম্প্রদায় দর্শন: রামানুজাচার্য কর্তৃক প্রচারিত বিশিষ্টাদ্বৈত মতবাদ দেখুন: শ্রী বৈষ্ণবধর্ম ব্রহ্মা সম্প্রদায় দর্শন: মাধবাচার্য কর্তৃক প্রচারিত চৈতন্য মহাপ্রভু ও দ্বৈত  কর্তৃক প্রচারিত মতবাদ হলো অচিন্ত্য ভেদ অভেদ  দেখুন:গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম রুদ্র সম্প্রদায় দর্শন হলো: শুদ্ধাদ্বৈত মতবাদ বিষ্ণুস্বামী ও বল্লভ আচার্য কর্তৃক প্রচারিত  নিম্বার্ক সম্প্রদায় দর্শন হলো:দ্বৈতাদ্বৈত মতবাদ নিম্বার্ক কর্তৃক প্রচারিত অন্যান্য উপশাখা ও উপসম্প্রদায় সম্পাদনা রামানন্দ প্রচারিত রামানন্দি সম্প্রদায় শ্রীমন্ত শঙ্করদেব প্রচারিত মহাপুরুষীয় ধর্ম জগন্মোহন গোসাঁই কর্তৃক প্রচারিত,জগন্মোহনী বাউল মতবাদ তান্ত্রিক সম্প্রদায় বৈষ্ণব সহজিয়া তিলক সম্পাদনা বৈষ্ণবদের মধ্যে কপালে তিলক অঙ্কণ করার রীতি রয়েছে। কেউ কেউ দৈনিক উপাসনার অঙ্গ হিসেবে তিলক আঁকেন, কেউ কেউ তিলক কাটেন বিশেষ অনুষ্ঠান বা উৎসব উপলক্ষে। বিভিন্ন বৈষ্ণব সম্প্রদায়গুলির নিজস্ব তিলক অঙ্কণশৈলী রয়েছে। এগুলি সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের সিদ্ধান্তের প্রতীক। সাধারণত তিলকের আকার ইংরেজি Y অক্ষরটির মতো।নাকের উপর অপর একটি রেখা বিশিষ্টই তিলক বিষ্ণুর পদ ও দুই বা ততোধিক লম্বরেখা এবং পদ্মের প্রতীক।

এই ধর্ম ছিল ব্রাহ্মণ্যধর্মেরই একটি অংশ। কৃষ্ণধর্মের উদ্ভব হয় অপেক্ষাকৃত পরবর্তীকালে। এর কারণ এই যে আধ্যাত্মিক বা নৈতিক চরিত্রের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও ব্রাহ্মণদের কাছে কৃষ্ণের তুলনায় শিব অধিক গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেন। পরে বিষ্ণুধর্মই কৃষ্ণধর্মের সঙ্গে মিশে যায়। হপকিনসের মতটি বর্তমানে সর্বজনগ্রাহ্য।  সমগ্র ভারতেই আজ এক বিরাট সংখ্যক বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের দেখা পাওয়া যায়। পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও গুজরাটের মত পশ্চিম ভারতীয় রাজ্যগুলিতে এঁদের সংখ্যা অধিক। বৈষ্ণবদের প্রধান প্রধান তীর্থগুলি হল: গুরুভায়ুর মন্দির, শ্রীরঙ্গম, বৃন্দাবন, মথুরা, অযোধ্যা, তিরুপতি, পুরী, মায়াপুর, দ্বারকা ও খেতুরী ধাম।বিংশ শতাব্দীতে ভারতের বাইরে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা ও রাশিয়ায় বৈষ্ণবধর্ম প্রসারিত হয়।এই প্রসার সম্ভব হয়েছিল।ইসকন আন্দোলন ১৯৬৬ সালে অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ প্রতিষ্ঠিত  করেছিলেন।  পৌরাণিক মহাকাব্য সম্পাদন ভক্তিবেদান্ত ম্যানর, ওয়াটফোর্ড, ইংল্যান্ড দুটি প্রসিদ্ধ ভারতীয় মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারত বৈষ্ণব দর্শন, ধর্মতত্ত্ব ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।রামায়ণ বিষ্ণুর অবতার রামের উপাখ্যান।

ধর্মনীতি, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বিচারে ইতিহাসে তাকে ‘আদর্শ রাজা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রামের স্ত্রী সীতা, ভাই লক্ষ্মণ ও ভক্ত হনুমানের আচরণও বৈষ্ণবদের নিকট আদর্শ। মহাকাব্যের খলনায়ক রাবণ এক দুষ্ট রাজা। বৈষ্ণবদের কী করা উচিত নয় তার উদাহরণ রাবণ। বিষ্ণুর অপর অবতার কৃষ্ণ মহাভারতের কেন্দ্রীয় চরিত্র ।এই মহাকাব্যের মূল উপজীব্য একটি পারিবারিক গৃহযুদ্ধ।এই যুদ্ধে কৃষ্ণ ধার্মিক পাণ্ডব ভাতৃগণের পক্ষাবলম্বন করেন।ভারতীয় দর্শনের একটি মূল্যবান উপাদান হলো কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রাগমুহুর্তে কৃষ্ণ ও অর্জুনের যে কথোপকথন হয় তাই । এই অধ্যায়টি ভগবদ্গীতা নামে হিন্দুদের একটি স্বতন্ত্র ধর্মগ্রন্থের মর্যাদাপ্রাপ্ত। হিন্দু দর্শনের উপর এই গ্রন্থটির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তবে বৈষ্ণবদের কাছে এটি আরও বেশি মূল্যবান। কারণ তারা মনে করেন, এই গ্রন্থের প্রতিটি বক্তব্যই কৃষ্ণের নিজের মুখ থেকে উৎসারিত হয়েছে। বৈষ্ণব সম্প্রদায়গুলিতে কৃষ্ণের মর্যাদা অত্যন্ত সম্মানজনক। কোনো কোনো সম্প্রদায় তাকে বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার মনে করেন। আবার গৌড়ীয় ও নিম্বার্ক সম্প্রদায় তাকেই বিষ্ণুসহ সকল অবতারের উৎস মনে করেন।

নাট্য রচনা করে থাকেন  বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীগণ এই দুই মহাকাব্যের নানা অংশ অবলম্বনে। এই নাটকগুলি সংশ্লিষ্ট অবতারের উৎসবে অভিনীত হয়। ধর্মগ্রন্থ হিসেবে ভগবদ্গীতা বহুপঠিত। ইংরেজি সহ বিশ্বের একাধিক ভাষায় এই গ্রন্থ অনূদিত হয়েছে।  পাশ্চাত্য গবেষণা সম্পাদনা ভারতে কয়েক শতাব্দীকাল বৈষ্ণব ধর্মতত্ত্ব ছিল ভক্ত, দার্শনিক ও পণ্ডিতদের গবেষণা ও তর্কবিতর্কের বিষয়। সাম্প্রতিক কয়েক দশকে ইউরোপে অক্সফোর্ড সেন্টার ফর হিন্দু স্টাডিজ ও ভক্তিবেদান্ত কলেজের মতো কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই ধর্মতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। যেসকল বিশেষজ্ঞ এই বিষয়টিকে পাশ্চাত্য বিদ্বজ্জন সমাজে তুলে ধরতে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন তারা হলেন তমালকৃষ্ণ গোস্বামী, হৃদয়ানন্দ দাস গোস্বামী, গ্রাহাম শেউইগ, কেনেথ আর. ভ্যালপেই, গাই বেক ও স্টিভেন আর. রোসেন প্রমুখ।  ১৯৯২ সালে স্টিভেন রোসেন দ্য জার্নাল অফ বৈষ্ণব স্টাডিজ নামক হিন্দু গবেষণা পত্রিকাটি চালু করেন।এই পত্রিকায় বৈষ্ণবধর্ম, বিশেষত গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়। 

বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক/প্রতিষ্ঠাতা কে?

এই প্রসার সম্ভব হয়েছিল ১৯৬৬ সালে অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ প্রতিষ্ঠিত ইসকন আন্দোলনের ফলে।ভাগবত বা বৈষ্ণব ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা কত জন?? মোট ১২ জন।।তাহারা কে কে দেখে আসি।  যমরাজ একদিন তার দূতগনকে বলছে।।  শুন ভাগবত বা বৈষ্ণব ধর্মের ১২ জন প্রতিষ্ঠাতার নাম বলছি।লিখে রাখ খাতা নয় হৃদয়ে লিখে রাখ নোইলে ভুলে যাবে।  যখন জপ করতে বসবে তাদের নাম জপ করে বসবে।কারন তাহারা প্রতিষ্ঠাতা ১২ জন আচার্য হচ্ছেন বৈষ্ণব ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা।তাদের স্বরণ না নিলে কিছুই করতে পারবে না।  
(১) সয়ম্ভু= সয়ম্ভু মানে প্রজাপতি ব্রক্ষা।যার উপর সমস্থ জীব শৃষ্টি কর্তার দায়িত্ব দেওয়া আছে।  
(২) নারদ মুনী= যিনি দিন রাত ভুরি ভুরি ভগবানের নাম প্রচার করে বেড়াচ্ছেন।  
(৩) সম্ভু= সম্ভু মানে দেবাদী দেব মহাদেব।যাহার উপর সংহার কর্তার দায়িত্ব দেওয়া আছে।  
(৪) কুমারো= মানে সনদ কুমার।।  
(৫) কপিলো= মানে কপিল মুনী।যে কপিল মুনীর জন্য বাংলায় আজও গঙ্গা মেলা হয়।বাংলাদেশের লোক ভারতে আসে বিভিন্য তৃর্থস্থান প্রদর্শণ করতে।আর এই ভারতের লোকের একদিন বাংলায় যাওয়া লাগে ঐ কপিল মুনীর গঙ্গা মেলার দিন।  
(৬) মনু সতর্বত।।  
(৭) প্রহ্লাদ= হিরণ্যকশিপুর ছট ছেলে।যিনি স্বরণে নৃসিংহ দেবের দর্শণ পেয়েছিলেন।  
(৭) জনক রাজা= সীতা দেবীর বাবা।রামের শশুর। । 
(৯) ভীষ্ম= গঙ্গা পুত্র ভীষ্ম।যাকে কুরুক্ষেত্রর রনভুমিতে অর্জুর বাণ মেরে তিরের উপরে সুয়ায়ে রাখছিল।যার পিছনে মহান সব্দ ছট হয়ে যায়।  
(১০) বলি মহারাজ= জিনি বামন অবতারকে সর্বস্ব দান করে নিজেই পাতালে প্রবেশ করলেন।এনার মতন শ্রেষ্ঠ বৈষ্ণব আর কে হতে পারে।  
(১১) বৈয়াসখি= মানে ব্যসদেবের পুত্র সুকদেব গোস্বামী।জিনি 8 দিন পরীক্ষিত মহারাজকে ভাগবত কথা শুনিয়েছিল।  
(১২) অহম= মানে আমি।সংস্কৃত ভাষায় অহম মানে আমি,আসাম মানে আমরা দুই জন,বৈয়ম মানে আমরা সবাই।  তাই যমরাজ ১২ নম্বরে কোন লোক না পেয়ে নিজের দিকে হাত দেখিয়ে বললেন অহম,১২ নম্বরে আমার নামটাই লেখ।  এবার দেখুন ঐ খানে ৩ নম্বরে কাহার নাম দেওয়া আছে?? দেবাদী দেব মহাদেবের নাম দেওয়া আছে মহাদেব ১ নম্বরে না এসে ৩ নম্বরে আসল কেন?  মহাদেব আচার্য বৈষ্ণব হিসাবে তিনি তৃতীয়। কিন্তু বৈষ্ণব হিসাবে বৈষ্ণবের ভিতরে তিনি শ্রেষ্ঠ।বৈষ্ণব হিসাবে তিনি সবার উপরে।   ভাগবতের দ্বাদশ স্কন্ধে বলা আছে। নদীর ভিতরে যেমন গঙ্গা শ্রেষ্ঠ।দেবতাদের মধ্যে যেমন বিষ্ণু শ্রেষ্ঠ ১৮ টা গ্ৰহন্থের ভিতরে যেমন ভাগবত শ্রেষ্ট। বৈষ্ণবদের মধ্যে তেমন মহাদেব শ্রেষ্ঠ।  আবর এটাও বলা আছে বিষ্ণুর শ্রেষ্ঠ ভক্ত হচ্ছে বৈষ্ণব।আবার বৈষ্ণবদের ভিতরে বিষ্ণুর শ্রেষ্ঠ ভক্ত হচ্ছে শিব।  তাহলে আমাদের মাথা যদি মহাদেব হয় ।তাহাকে বাদ রেখে কিছু করতে পারব??  পারব না।তবে সর্বসাকুল্যে পৃথিবীতে বৈষ্ণব ধর্ম ওতপ্রোতভাবে সফলভাবে প্রতিষ্ঠা করেন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। 

পরিশেষে বলা যায়, না বৈষ্ণব কোনো ধর্ম না, ধর্মের নাম সনাতন ধর্ম। বৈষ্ণব তার একটি ধারা মাত্র, যারা ভগবান বিষ্ণুর উপাসক। প্রাচীন ভারতীয় উপাসকরা পাঁচটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল। সেগুলি হলো - বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত, সৌর ও গাণপত্য। বিষ্ণু উপাসকদের বৈষ্ণব, শিব উপাসকদের শৈব, শক্তি উপাসকদের শাক্ত, সূর্য উপাসকদের সৌর এবং গণেশের উপাসকদের গাণপত্য বলা হয়।  এই পাঁচজনকে একত্রে পঞ্চদেবতা এবং তাদের উপাসনাকে পঞ্চ উপাসনা বলা হতো।  যার মূখে শুদ্ধভাবে নিরন্তর হরিনাম কৃষ্ণনাম শোনা যায়।


বৈষ্ণব ধর্ম,বৈষ্ণব ধর্মমতের উদ্ভব ও বিকাশ,বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক কে,বৈষ্ণব ধর্ম কাকে বলে,বৈষ্ণব ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা,বৈষ্ণব ধর্ম pdf,বৈষ্ণব ধর্মের বৈশিষ্ট্য,বৈষ্ণব ধর্মের বিভাগ,বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক,

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
"/>
"/>
"/>
"/>