আহার বা খাদ্যাভাস কত ধরনের
আহার বা খাদ্যাভাস
যেভাবে শুরু হয়েছিল মানুষ খাদ্য-সংগ্রহকারী থেকে খাদ্য উৎপাদনকারীতে পরিণত হবার সঙ্গে সঙ্গে তার খাদ্যাভ্যাসের বৈচিত্র্য এসেছিল। তবে একথা ঠিক কোনও অঞ্চলের মানুষের খাদ্যাভ্যাসের পেছনে থাকে তার ভৌগলিক ও জলবায়ুগত প্রভাব, খাদ্যের সহজলভ্যতা এবং সংরক্ষণের সুযোগ।তবে খাদ্যাভ্যাসের পেছনে সংস্কার, রীতিনীতি এবং পরম্পরা অন্যতম প্রেরণা হিসেবে কাজ করে। যেমন আমাদের মধ্যে আমিষ ও নিরামিষ খাদ্য বা মাংসের ক্ষেত্রে মধ্যে রুচিগত পার্থক্য বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের পৃথিবীর বিভিন্ন মানুষের মধ্যে পার্থক্য তৈরি করেছে।
![]() |
ধর্মমতে আহারের ছবি |
রামানুজাচার্য এস্থলে খাদ্যের তিনটি দোষের কথা বলেছেন-
সূত্র: জগদীশ চন্দ্র ঘোষ, শ্রীমদ্ভগবদগীতা(বৃহৎ), পৃ. ৪৮৬
সাত্ত্বিক আহারই সর্বাপেক্ষা উত্তম আহার অন্য সকল উপর্যুক্ত গুণ বিচার করলে এটাই প্রমাণিত হয়।
পরিশেষে বলা যায় সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্যের প্রয়োজন, এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যে খাদ্যেরও ভূমিকা আছে, তা আমাদের জানা প্রয়োজন। সুস্বাস্থ্য ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক—এই তিন অবস্থার একটি সমন্বয়। সুস্বাস্থ্যের জন্য রোগমুক্ত সুস্থ শরীরের সঙ্গে ভয়, হতাশা, বিষণ্নতা ও মানসিক চাপমুক্ত থাকা প্রয়োজন। ব্যক্তির চাহিদা অনুযায়ী সুষম খাদ্য গ্রহণ আমাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।