গীতা থেকে পাওয়া হাজারো জ্ঞানভান্ডারের বাচাই করা ২৭ টি জ্ঞানবাক্য

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখ-নিসৃত বাণী হলো শ্রীমদ্ভগবত গীতা যাথাযথ ,যা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুন কে উদ্দেশ্য করে বলে ছিলো মহাভারতের যুদ্ধের সময়। এই গীতার  জ্ঞান আমাদের সকলের জীবনে পরম কল্যান কিভাবে সাধিত হবে তা বর্ণনা করা আছে।

গীতার জ্ঞান
গীতার জ্ঞান 


১। সকল প্রকার শাস্ত্রের সারতিসার,হলো গীতা।
২।ভগবদগীতা বা গীতোপনিষদ সাধারণত মহাভারতের ভীষ্মপর্বের (২৫ থেকে ৪২) এই ১৮ টি অধ্যায়।
৩।৭০০ শ্লোক বিদ্যমান রয়েছে গীতায়।৭০০  মধ্যে শ্লোকের মধ্যে ১টি শ্লোক বলেন ধৃতরাষ্ট্র,৪০টি শ্লোক বলেন সঞ্জয়, ৮৫টি শ্লোক অর্জুন বলেন ,৫৭৪টি শ্লোক ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন ।
৪।পুরো গীতায় ৯৫৮০ টি সংস্কৃত শব্দ বিদ্যমান আছে ।
৫। কর্মষটক বলা হয় গীতার ১৮টি অধ্যায়ের মধ্যে প্রথম ৬টি অধ্যায়কে ,ভক্তিষটক বলা হয় মাঝখানের ৬টি অধ্যায়কে ,জ্ঞানষটক বলা হয়েছে আর বাকি ৬টি অধ্যায়কে।
৬। এই ৫টি(ঈশ্বর, জীব, প্রকৃতি, কাল ও কর্ম) বিষয় সর্ম্পকে জানা যায় গীতা পড়লে ।
৭। যদিও ৫০০০ বছর আগে  গীতার জ্ঞান পাওয়া গেছে  কিন্তু ভগবান চতুর্থ অধ্যায় বলেছেন এই জ্ঞান তিনি এর আগেও বলেছেন, মহাভারতের শান্তিপর্বে (৩৪৮/৫২-৫২) গীতার ইতিহাস উল্লেখ আছে । তার মানে গীতা প্রথমে বলা হয় ১২,০৪,০০,০০০ বছর আগে, মানব সমাজে এই জ্ঞান প্রায় ২০,০০,০০০ বছর ধরে বর্তমান, কিন্তু  পুনরায় আবার তা অর্জুনকে দেন কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে যাবার কারনে ।
৮। মাত্র ৪০ মিনিটে এই গীতার জ্ঞান দেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার প্রিয় অর্জুনকে ।
৯। গীতার মাহাত্ম্য অনেকে করে গেছেন, তার মধ্যে শ্রীশঙ্করাচার্য, স্কন্দপুরাণ থেকে শ্রীল ব্যাসদেব, শ্রীবৈষ্ণবীয় তন্ত্রসারে গীতা মাহাত্ম্য আর পদ্মপুরাণে দেবাদিদেব শিব কর্তৃক ১৮টি অধ্যায়ের মাহাত্ম্য বর্ণিত আছে ।
১০। গীতাতে অর্জুনের ২২ টি নাম আর কৃষ্ণের ৪৩টি নামের উল্লেখ করা হয়েছে ।
১১। কথাটি বেশি বর্নিত আছে গীতাতে তা হলো ‘মাম্’ এবং ‘মামেব’, ‘যোগ’ শব্দটি আছে ৭৮ বার, ‘যোগী’ আছে ২৮ বার আর ‘যুক্ত’ আছে ৪৯ বার ।
১২। গীতার ২য় অধ্যায়কে বলা হয় গীতার সারাংশ ।
১৩। ভগবান যখন বিশ্বরূপ দেখান তখন কাল থেমে যায়।
১৪। গীতায় অর্জুন শ্রীকৃষ্ণ কে ১৬টি প্রশ্ন করেন আর তা শ্রী কৃষ্ণ ৫৭৪টি শ্লোকের মাধ্যমে উত্তর দেন ।
১৫।সম্পুর্ন  গীতার সারমর্ম মাত্র ৪টি শ্লোকে বর্ণনা করা হয়েছে, ১০ম অধ্যায়ের ৮ থেকে ১১ নং শ্লোক-এ।
১৬।শ্রীমদভগবদগীতায় ৩টি গুণ, ৩টি দুঃখ আর ৪টি আমাদের প্রধান সমস্যার কথা বলেছে ।
১৭।ভগবতগীতার মধ্যে সাধুর ২৬টি গুণের কথা বলা হয়েছে আর ৬টি আসুরিক প্রবৃত্তির কথা বলা হয়েছে ।
১৮।শ্রীমদভগবদগীতায় নরকের ৩টি দ্বারের কথা বলা হয়েছে (কাম, ক্রোধ ও লোভ)
১৯। গীতা অনুযায়ী, ব্রাহ্মণের ৯টি গুণ, ক্ষত্রিয়ের ৭টি গুণ, বৈশ্যের ৩টি গুণ আর শুদ্রের ১টি গুণ ।
২০। গীতায় ৩টি কর্মের প্রেরণা আর ৩টি কর্মের আশ্রয়ের কথা বলা আছে ।
২১। গুণ অনুসারে ৩ প্রকারের ত্যাগের কথা বলা হয়েছে ।
২২।শ্রীমদভগবদগীতায় ৩ প্রকারের আহার, যজ্ঞ, তপস্যা, শ্রদ্ধা, পূজা ও দানের কথা বলা হয়েছে ।
২৩। ২ টি স্বভাবের এবং ৫ টি চেতনার জীবের কথা বলা হয়েছে ।
২৪। ৩ প্রকার জীবের কথা বলা হয়েছে ।
২৫। ৩ প্রকার ক্লেশ বা দুঃখ এবং মানুষের ৬ টি প্রধান শত্রুর কথা বলা হয়েছে।
২৬। জড় দেহের ৬ টি পরিবর্তনের উল্লেখ রয়েছে।
(সংগৃহীত)
২৭। ব্রহ্ম উপলব্ধির ৫টি স্তরের কথা বলা হয়েছে


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
"/>
"/>
"/>
"/>